ইয়েমেনে একটি জানাযা অনিষ্ঠানে বিমান হামলায় মারা গেছে ১৪০ জন। স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় দেশটির হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এক নেতার বাবার জানাজা চলাকালে বিমান হামলায় অন্তত ১৪০ জন নিহত ও পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী পরিচালিত সরকারের অভিযোগ, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট এ হামলা চালিয়েছে। তবে সৌদি আরব এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
হামলার পর ঘটনাস্থলকে ‘রক্তের হ্রদ’ বলে বর্ণনা করেছেন মুরাদ তৌফিক নামের এক উদ্ধারকর্মী। এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ইয়েমেনে জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রমের সমন্বয়কারী জেমি ম্যাকগোল্ডরিক। তিনি এটাকে ‘লোমহর্ষক হামলা’ উল্লেখ করে দ্রুত সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা বিষয়টি ‘দ্রুত পর্যালোচনা’ শুরু করেছে। পাশাপাশি এই জোটকে দেওয়া সহায়তা কমিয়ে আনা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত এই পরাশক্তি।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র নিড প্রাইস বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহযোগিতা কোনো ব্ল্যাঙ্ক চেক নয়।’
এ অঞ্চলের অন্যতম দরিদ্র রাষ্ট্র ইয়েমেনে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের পক্ষ হয়ে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে। ২০১৪ সালে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি জানিয়েছে, তারা লাশের জন্য ৩০০ ব্যাগ প্রস্তুত রেখেছে। শনিবারের ওই বিমান হামলার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতের সংখ্যা ও অবস্থা দেখে উদ্ধারকর্মীরা হতভম্ব হয়ে পড়েন।
আপনার মতামত লিখুন :