করোনাভাইরাসের বিস্তারের কারণে চীন থেকে যেসব বাংলাদেশি দেশে ফিরতে চান, তাঁদের আনতে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ একটি ফ্লাইট আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে ঢাকা ছেড়ে যাবে। বিমানটি আজ দিবাগত রাত দুইটার দিকে বাংলাদেশি যাত্রীদের নিয়ে দেশে ফিরবে। বিমান সূত্র বলছে, তিন শতাধিক যাত্রী দেশে ফিরতে পারেন। বাংলাদেশ বিমানের উপমহাব্যববস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, বিমানটিতে ৪১৯ আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি চীনের উহানে যাবে। এর আগে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নাগরিক যারা চীন থেকে ফিরতে চাইবেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশ চীন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা শুরু করে।
করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান শহর । চীনে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, দেশটিতে প্রায় পাঁচ হাজার বাংলাদেশি আছেন। এর মধ্যে করোনাভাইরাস উপদ্রুত উহান শহরে বাংলাদেশি আছেন ৪৫০ জন। তাঁদের মধ্যে ৩১৪ জন দূতাবাসের কাছে দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন করেছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৃহস্পতিবার এক জরুরি বৈঠকের পর সংস্থাটির তরফ থেকে এই ঘোষণা আসে বলে বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পেছনে কারণ হিসেবে, ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এবং এটি এখন শুধু চীনের উদ্বেগের বিষয় নয় বরং আন্তর্জাতিক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে এখন পর্যন্ত ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা শুধু চীনেই ৮ হাজারের বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে চীনের বাইরে ১৮টি দেশে ৯৮ জনের শরীরের এমন ভাইরাস পাওয়া গেছে। এদের বেশির ভাগই চীনের উহান রাজ্য থেকে আসা। চীনের বাইরে এখনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবদেহের মাধ্যমে ছড়িয়েছে এমন ১৮টি ঘটনা পাওয়া গেছে জার্মানি, জাপান, ভিয়েতনাম ও যুক্তরাষ্ট্রে।
আপনার মতামত লিখুন :