পড়ছিলাম সৌহার্য্য ওসমানের কবিতা। একের পর এক কবিতা, ক্লান্তিহীন পড়ে যাচ্ছি। কি খুজতে চাচ্ছি,তা মনে নেই,শুধু কবিতা পড়ছি আর কবিতা পড়ার আনন্দে পড়ে যাচ্ছি। কবিতায় যে সরল কাব্যময়তায় গভীর এক জীবনানুরণন তুলে আনা যায়, তা কেবলি আমাদের আশপাশকে এক ভিন্ন আংগিকে উপস্থাপনের স্পর্ধা এখানে। কবি কি তার সময়ের গভীর নিঃস্বাস টের পান?
হ্যা, পান। আমরা আমাদের পরিপার্শ্বকে যেভাবে অবহেলায় দেখি,কবি দেখেন, এক চিত্রকল্প হিসেবে। তিনি বাজার অর্থনীতি, সংসার,যাপনের অসংলগ্নতাকে পরম পুলকে হাজির করেছেন। কবি আবার স্বভাবসুলভ প্রতিবাদ অক্ষরে বন্দি করেন, এভাবে
সে রাত কেবলি আহত করে
তখন ধবংসের নৌকা দেখতে দেখতেই
নাফের সবজল রক্ত হয়ে যায়
বৃক্ষের সাথে আমাদের আত্মিক সম্পর্ককে আমরা যেভাবেই দেখি,কবি দেখেন পাতায় পাতায় পাতাদের কথা কিংবা নিঃস্বাস দুরত্বে অথরার ঠোট। কবির কবিতায় যেভাবে একটি বাক, একটি মোড় যাদুবাস্তবতায় ধরা দেয়,সেভাবে নতুন বাজার এক কাব্যিক ধ্যানমগ্নতা নিয়ে দাঁড়িয়েছে।
অথরা তোমার ভেতর খুলে দাও
ঢেলে দাও সবুজ নতুন বাজার
যাপন যদি শুদ্ধতা খুজে তবে কবিতা কেন নয় তেমনি আলোর মিছিলে সামিল হয় প্রান্তিক দৌড় বা ঢলুয়াবিল। কবির কবিতায় পরিপার্শ্ব জ্বলজ্বলে উপস্থাপিত হলেও,সার্বজনীন পৃথিবী আরো উদারভাবে আসতে পারতো। তবে কবির মুন্সিয়ানা মানুষের ভেতরের বৈকল্যকে নিপূনভাবে হাজির করেছেন বিভিন্ন কবিতায়।
কবি সৌহার্য্য ওসমান, আরো সাবলিলভাবে উপস্থিত থাকবেন আগামীর ভোরে।
সুন্দর কবিতার জয়।
প্রথম কাব্যগ্রন্থের জন্য শুভাশীষ।
আপনার মতামত লিখুন :