আতঙ্কের মধ্যেও সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু


F.Taj প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৩, ২০১৭, ৩:২৭ PM / ৩৬
আতঙ্কের মধ্যেও সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু

সংঘাতের শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র পর্যটকদের সুবিধার্থে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেয়ারি সিন্দবাদ নামের একটি জাহাজ প্রাথমিকভাবে তিনশ’পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পরে তারা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে পৌঁছায় বলে জানায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী।

পর্যটন মৌসুম শুরুর দেড়মাস পর ১৫ নভেম্বর সকাল থেকে পর্যটকদের নিয়ে যাত্রা করবে ছয়টি জাহাজ। তবে চলাচলের ক্ষেত্রে মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া সীমান্ত এলাকা অতিক্রমের সময় সতর্কতা অবলম্বনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাহাজ কর্তৃপক্ষকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ফলে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার সবগুলো স্বাভাবিক প্রক্রিয়াই অনেকটা থমকে যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাধাগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন শিল্প। বিশেষ করে সংঘাতসহ নানা দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয় টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল। অথচ অক্টোবর থেকেই শুরু হয় পর্যটনের ভরা মৌসুম। শেষ পর্যন্ত প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে জাহাজ চলাচলের।

কক্সবাজার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফর রহমান আজাদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই নাফ নদীতে পর্যটকবাহী জাহাজ আগে যেভাবে যেত, ঠিক সেভাবেই পর্যটকরা যেতে পারবে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, সম্প্রতি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে একটি পত্র এসেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে। মিয়ানমার নাইক্ষ্যংদিয়া দিয়ে জাহাজ অতিক্রমের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পয়লা অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ছয় মাসের এ পর্যটন মৌসুমের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল কয়েক লাখ মানুষ। এ ছাড়া পর্যটকদের ওপর ভরসা করেই সেন্টমার্টিনে গড়ে উঠেছে শতাধিক হোটেল মোটেল এবং রিসোর্ট। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে টেকনাফ থেকে অন্তত পাঁচ হাজার পর্যটক নিয়ে ছেড়ে যায় ছয়টি জাহাজ। আবার জাহাজগুলো পর্যটকদের নিয়ে বিকেল ৩টার মধ্যে টেকনাফের উদ্দেশে সেন্টমার্টিন ছেড়ে আসে।