দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা পেপাল সেবার জন্য অপেক্ষা করেছেন। অর্থ স্থানান্তরের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম পেপাল বাংলাদেশে চালু হচ্ছে ১৯ অক্টোবর। বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৭–এর দ্বিতীয় দিন পেপাল সেবা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ এ তথ্য জানান।
অনেক দিন ধরেই পেপালের বাংলাদেশে আসা নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছিল। পেপালের প্রতিনিধিরা যেমন বাংলাদেশে এসেছিল, তেমনি এ বছরের এপ্রিলে প্রতিমন্ত্রী পলকও পেপালের সদর দপ্তরে গিয়ে আলোচনা করেছেন। অবশেষে দেশে এ সেবা উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে। দেশের ফ্রিল্যান্সাররা দীর্ঘদিন ধরেই এ সেবাটি চালুর অপেক্ষায় ছিলেন। পেপাল চালু হলে ফ্রিল্যান্সারদের অনেক উপকার হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ডিজিটাল লেনদেন, ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে যাচ্ছি আমরা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে এ ধরনের সেবা চালু করা গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রাথমকিভাবে সোনালী, রূপালী ব্যাংকসহ নয়টি ব্যাংকের ১২ হাজার শাখায় পেপাল সেবা পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশে পেপাল চালু নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনার এক পর্যায়ে এ বছরের মে মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক পরীক্ষামূলকভাবে পেপালের সেবা (জুম) চালু করে। তবে এতে শুরুতে বৈদেশিক রেমিট্যান্স আহরণ ও বিতরণ কার্যক্রম চালুর কথা বলা হলেও ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিংয়ের অর্থ লেনদেনের সুবিধা ছিল না।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশে পেপাল চালুর জন্য প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। বাংলাদেশে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করার আহ্বানে সাড়া দেয় প্রতিষ্ঠানটি। পেপাল-জুমের ক্যালিফোর্নিয়ার সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে পেপালের জুম প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা জুলিয়ান কিং।
জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, দীর্ঘদিন ধরেই পেপাল সেবাটি চালু করার চেষ্টা ছিল। এবারে ডিজিটাল বাংলাদেশের সফলতার আরেকটি মুকুট যুক্ত হলো পালকের। এতে রেমিট্যান্স বাড়বে।
বাংলায় গুগলের সেবা ও ফেসবুকের প্রশিক্ষণ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১৬ কোটি মানুষের দেশ আমাদের। এখানকার জনসংখ্যার বেশির ভাগ তরুণ। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বিশ্বে প্রশংসিত। গুগল-ফেসবুকের অনেক সেবা তাই বাংলাদেশে আসছে। ফেসবুক বাংলাদেশে ১০ হাজার তরুণকে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে। ২০২১ সাল নাগাদ তথ্যপ্রযুক্তিতে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রার পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিমূলক কাজের অংশ এগুলো।’
পেপাল কি?
বিশ্বব্যাপী অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম হিসেবে কাজ করে মার্কিন কোম্পানি পেপাল হোল্ডিংস । এটি অনলাইন অর্থ স্থানান্তর ও প্রচলিত কাগুজে পদ্ধতির পরিবর্তে ইলেকট্রনিক পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ইন্টারনেট পেমেন্ট কোম্পানি হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ফ্রিল্যান্সারদের কাছে জনপ্রিয় মাধ্যম এটি।
আপনার মতামত লিখুন :