বৈশ্বিক জলবায়ু চুক্তিতে থাকছে না যুক্তরাষ্ট্র। প্যারিসে স্বাক্ষরিত বৈশ্বিক জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের থাকা না-থাকা নিয়ে সৃষ্ট নতুন বিভ্রান্তি দূর হলো। যুক্তরাষ্ট্র আবারো জানিয়ে দিল, তারা এ চুক্তিতে থাকবে না। তবে শনিবার মন্ট্রিলে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু আলোচনায় তারা অংশ নেবে।
ইউরোপীয় কমিশনের মিগুয়েল আরিয়াস কানেটির বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করা হবে না এবং চুক্তিতে নতুন করে অংশ নেবে তারা। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনকে ‘সঠিক নয়’ অভিহিত করে বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। যতক্ষণ আমাদের দেশের জন্য আরো সহায়ক শর্তে চুক্তি না হচ্ছে’ ততক্ষণ কোনো পরিবর্তন নয়। জুন মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরো স্বচ্ছ একটি জলবায়ু চুক্তি চান তিনি। তাদের ব্যবসায় ক্ষতি না হয়- এমন একটি নতুন চুক্তির কথা বলেছিলেন তিনি। তবে তাদের বিরোধীদলীয় নেতারা বলেছিলেন, চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলে বৈশ্বিক নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য ১৮৭টি দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়, তারা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন রোধে তাপমাত্রার বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে একসঙ্গে কাজ করবে। এই চুক্তিতে শুধু সিরিয়া ও নিকারাগুয়া স্বাক্ষর করেনি। ট্রাম্পের মতে, প্যারিস জলবায়ু চুক্তির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ৬৫ লাখ লোক চাকরি হারাবে, ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের জিডিপি কমে যাবে। কিন্তু চীন ও ভারত এ চুক্তি থেকে সে তুলনায় বেশি সুবিধা নেবে।
তবে জুলাই মাসে ফ্রান্স সফরের সময় ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, জলবায়ু চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে পারে। তবে তখন বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। শনিবার কানাডার মন্ট্রিলে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ৩০ দেশের পরিবেশমন্ত্রীরা বৈঠকে বসছেন। এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি অংশ নেবেন।
আপনার মতামত লিখুন :