মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে কড়া সমালোচনা করেছেন খ্রিস্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।
রবিবার এ সমালোচনার সঙ্গে তিনি নিপীড়ন বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের পূর্ণাঙ্গ অধিকার ফিরিয়ে দিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। খবর: ভ্যাটিক্যান রেডিও ও এপি’র।
পোপ বলেন, ‘আমাদের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা ভাই-বোনদের প্রতি নিপীড়নের খবর খুবই বেদনাদায়ক।’
গত ২৪ আগস্ট মধ্যরাতের পরে রাখাইনে পুলিশ পোস্ট ও সেনাঘাঁটিতে রোহিঙ্গা যোদ্ধারা ঢুকে পড়ার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খরা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
এরপর থেকে রাখাইনে অভিযান চালাচ্ছে মিয়ারমারের সেনাবাহিনী। এই অভিযানে সরকারি হিসাবেই ইতোমধ্যে নিহত শতাধিক পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্যও রয়েছেন।
তবে রোহিঙ্গা অধিকার নিয়ে কাজ করে, এমন মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, সাম্প্রতিক অভিযানে নারী-শিশুসহ ৮ শতাধিক রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে সেনারা।
তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রাণ বাঁচাতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তে নাফ নদীর তীরে অবস্থান করছে। তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে বাংলাদেশ সীমান্ত বাহিনী বিজিবি তাদের ঢুকতে দিচ্ছে না।
সেন্ট পিটার’র স্কয়ারের ওই প্রার্থনা সভায় পোপ আরও বলেন, ‘ঈশ্বর রোহিঙ্গাদের রক্ষা করবেন। আপনারাও তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসবেন।’
মিয়ানমারের এক বিশপ সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, সম্ভবত পোপ মিয়ানমার সফরে মনস্থির করেছেন। তবে ভ্যাটিক্যান সিটি জানিয়েছে, একমাত্র ধর্মীয় ব্যাপারেই পোপ এ ধরনের সফর বিবেচনা করে থাকেন।
আপনার মতামত লিখুন :