মা ছেলের হাতে স্বপ্ন তুলে দেন। আর ছেলে সেই স্বপ্ন সত্যি করছেন। বলছি ইয়ামিন ইলানের মার কথা। সংগীতজীবনে প্রথম ইলেকট্রিক গীটার কিনে দেন তার মা। তারপর ইতিহাস । একজন পিতৃবিয়োগ উঠতি তরুণ ছেলের স্বপ্নের আবদার, তার প্রয়োজন একটি ইলেকট্রিক গীটার। যে গীটার’ টির মাঝে সে খুঁজে নেবে হাজারো সুরের মূর্ছনা। কিন্তু আসলেই কি সব সময় চাওয়া মাত্রই সবাই সব কিছু দিতে পারেন? যদিও পারেন, কিন্তু সেই পেরে ওঠার পেছনের গল্পটা জানে ক’জন।
হ্যাঁ উল্লেখিত গল্পটা সময়ের আলোচিত ব্যান্ড “বিজয়রথ” এর ভোকাল ও লিড গিটারিস্ট ইয়ামিন ইলানের। এখন তার নিজস্ব প্রফেশনাল স্টুডিওতে ১০-১২ ধরণের গীটার আছে, তবুও মায়ের ত্যাগের বিনিময়ে কেনা গীটার’টা অমূল্য। আজ এতো ইন্সট্রুমেন্ট এর মুল উৎস ছিল ঐ প্রথম গীটার‘টি, যেখানে অদৃশ্য ভাবে মিশে ছিল মায়ের বিশ্বাস। কথাগুলো জানিয়েছেন তরুণ শিল্পী ও পরিচালক ইয়ামিন ইলান।
তার কাছে জানতে চাইলাম গীটার বাজানো নিয়ে কখনো পাড়া, প্রতিবেশীর কনো নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার হয়েছিলেন কি না। তিনি বলেন,আমাকে কেউ সরাসরি না বললেও সুযোগ পেলে পাড়া, প্রতিবেশীর অনেকেই মা কে বলতেন কি করছেন আপা! এগুলো করলে ক’জন ভালো থাকে বলুন, ছেলে তো নষ্ট হয়ে যাবে।তবে ইয়ামিন ইলান নষ্ট হয়ে যান’নি বরং কষ্ট করে হলেও মর্যাদা রেখেছেন মায়ের বিশ্বাসের। আজ তিনি স্বনির্ভর একজন মিউজিশিয়ান ও সময়ের আলোচিত প্রোডাকশন হাউজ ই-মিউজিক এর কর্ণধার। বিন্দু, বিন্দুতে নাকি দরিয়া হয়, ঠিক তেমনই তিল, তিল করে এই মিদিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের ছোট্ট একটি সম্রাজ্জ্য গড়ে তুলেছেন আর এ সবই সম্ভব হয়েছে মায়ের নিরব উৎসাহ দিয়ে।
এখন নিয়মিত চলছে গান ও মিউজিক ভিডিও নির্মাণের পথযাত্রা, আর এ পথযাত্রা অব্যাহত থাক আমরাও রইলাম নতুন, নতুন গানের আশায়। সামনেই তার ব্যান্ডদল থেকে দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশ পাবে।
আপনার মতামত লিখুন :