গেম খেলার জন্য এখন মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেছে বেশি। তাই বিশ্বে গেমিং বিভাগে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মোবাইল গেমিং। গেমের খবর প্রকাশক হিসেবে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গেমিংস্ক্যান সম্প্রতি গেমের বাজার নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে স্মার্টফোন গেমিংয়ের বাজার দাঁড়িয়েছিল ৬৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এর মধ্যে ৫৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন গেমিংয়ের বাজার শুধু স্মার্টফোনের আর বাকি ১৩ দশমিক ৬ বিলিয়নের বাজার ট্যাবলেট কম্পিউটারের।
গেমিংস্ক্যানের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্মার্টফোন গেমিংয়ের আয়ের বেশির ভাগ আসে অ্যাপ থেকে কেনাকাটার মাধ্যমে। অ্যাপ থেকে বিভিন্ন ভার্চ্যুয়াল সেবা বিক্রি থেকে আসে আয়ের ৪০ শতাংশ। এরপর ৩০ শতাংশ আয় আসে ভিডিও বিজ্ঞাপন থেকে।
মোবাইল গেমিংয়ের ক্ষেত্রে অ্যাপলের আইওএস প্ল্যাটফর্ম, বিশেষ করে আইফোন ও আইপ্যাড ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন। তবে বাজার বিশ্লেষকেদের ধারণা, ২০২৩ সাল নাগাদ আইওএস প্ল্যাটফর্মকে ছাপিয়ে যাবে অ্যান্ড্রয়েড।
যুক্তরাষ্ট্রে আইওএস প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি আয় করা স্মার্টফোন গেম হচ্ছে ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস। এরপর রয়েছে ফোর্টনাইট। এরপর রয়েছে যথাক্রমে ক্যানডি ক্র্যাশ সাগা, ক্ল্যাশ রয়্যাল ও রোলবক্স।
বাজার গবেষকেদের তথ্য অনুযায়ী, পিসি গেমের বাজার দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এ ক্ষেত্রে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
কনসোলভিত্তিক গেমের বাজার এখন ৪৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের, যার বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। সব মিলিয়ে ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ বৈশ্বিক গেমিং বাজার দাঁড়িয়েছে ১৫২ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
বাজার বিশ্লেষকেরা পূর্বাভাস দিচ্ছেন, আগামী দুই বছরে মোবাইল গেমের বাজার আরও বড় হবে। তবে পিসি ও ব্রাউজারভিত্তিক গেমের বাজার কিছুটা সংকুচিত হবে। কনসোল গেমের বাজার স্থিতিশীল থাকতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :