ভাগ্য আপনার দরজায় কড়া নাড়বে আর আপনি লুফে নিবেন, এ ধারণা ভুল প্রমাণ করলেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার দুল্লা ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের এক সময়ের হতদরিদ্র আলাল মিয়া। ছয় সন্তানের জনক আলাল ক’দিন আগেও চোখে-মুখে অন্ধকার দেখতেন অর্থনৈতিক কারণে ।
গত কয়েক বছর পূর্বে স্হানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা’র সাথে পরামর্শ করে শ’তিনেক বাউকুলের চারা বসত বাটির পাশেই রোপন করে। সেই শুরু আর থামতে হয়নি আলাল মিয়াকে বরং প্রবল ইচ্ছে শক্তি, অক্লান্ত পরিশ্রম আর স্হানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে ভাগ্যের চাকা ক্রমেই গতিশীল হচ্ছে।
বর্তমানে আলাল মিয়া দু’শ শতাংশ জমিতে চারশত চায়না-৩ লিচু, ৪ একরে আম্রপালিসহ অন্যান্য জায়গায় সমন্বিত ফসল উৎপাদন, নিজস্ব পানি নিষ্কাশন ব্যবস্হা, কেচো-কম্পোস্ট সার উৎপাদন, বাগানে আধুনিক প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন সব মিলিয়ে একজন সফল খামারি।
হতাশা ব্যক্ত করে আলাল বলে, ৪ কিলোমিটার রাস্তার কারণে বিপননে ফল সঠিক সময়ে বাজারজাত ব্যাহত হচ্ছে।
আলাল মিয়া স্হানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা (বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার প্রাপ্ত) এর প্রতি দোয়া ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বলেন, স্যারের সার্বি ক সহযোগিতার মাধ্যমেই আমি আজ সফল।
আপনার মতামত লিখুন :