আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহনের লক্ষে সংবাদপ্রবাহকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে ঢাকাস্থ ছাত্র কল্যাণ সমিতির সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক সহ-সভাপতি, মুক্তাগাছা শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিঃ.এ. কে. এম আসাদুজ্জামান মানিক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে, সুশৃঙ্খল ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বিনির্মাণ করে আধুনিক আলোকিত মুক্তাগাছা গড়তে চাই।
নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি ১৯৯৮ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করছি। ২০০১ সালের নির্বাচনে কলেজের কমিটিতে থেকে নেত্রী রাশিদা মহিউদ্দিন আপার বিজয়ের লক্ষে কাজ করি। এরপর পড়াশোনায় মনোনিবেশ করে এমবিএ শেশষ করে কর্মজীবন শুরু করি। কর্মজীবনের আমি পিপলস্টেল, গ্রামীণফোন, বাংলালিংকে এবং রবিতে কাজ করি। এলাকায় এসে রাজনীতির গন্ডিতে আবারো স্বেচ্ছাসেবকলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে কাজ শুরু করি। আমি সবসময় মানুষের জন্য কিছু করার তাগিদ অনুভব করি। সে তাগিদটা আজীবনই আমার থাকবে। সে তাগিদ থেকেই নির্বাচনে অংশ নেয়া।
তিনি আরো বলেন, মুক্তাগাছায় মাদকের ভয়াবহতা থেকে মানুষ রক্ষার্থে আমি সকল ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান, সুধীজন, সাংবাদিক, গুণীজনদের সাথে নিয়ে কাজ করবো। প্রতিটি কাজের স্বচ্ছতার সাথে করবো। আমার সবকিছুই আছে। তাই আমার নেই কোন লোভ। শুধু একটি লোভ আছে তা হচ্ছে মানুষের জন্য কাজ করার। আমি তাদের জন্য কিছু করতে চাই। এবং আমি আশাবাদি জনগন আমাকে ভোট দিবে।
দলীয় সমর্থনের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, জেলা, উপজেলা এবং তৃণমুলের নেতা ও কর্মীবৃন্দ নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য প্রেরণা দিয়েছেন। এ প্রেরণা আমাকে আরো বেশি উৎসাহ জোগাচ্ছে । আমি আত্মবিশ্বাসী আমি বিজয়ী হতে পারবো। আমি বিজয়ী হয়ে মুক্তাগাছ কে আলোকিত, আধুনিক মুক্তাগাছা হিসাবে গড়ে তুলবো।
এছাড়াও তিনি শিক্ষার উন্নয়নে মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম প্রবর্তন, জলাবদ্ধতা নিরসন, নদী দখলমুক্তকরণ, পরিচ্ছন্ন শহর ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে.এম খালিদ এমপি এর উন্নয়ন ভাবনা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আপনার মতামত লিখুন :