মুক্ত গাংচিল


Saniya প্রকাশের সময় : মার্চ ৮, ২০১৮, ৫:৫৬ PM /
মুক্ত গাংচিল

মাঝে মাঝে মনে হয় সত্যিই কি এদেশের গাংচিলেরা মুক্ত! নাকি আজও পরাধীনতার বেড়ি পরে বসে আছে;
হয়ত সবাই ভাববেন গাংচিল তো উড়তে পারে তাহলে তা আবার পায়ে বেড়ি পরে কিভাবে?

বলছি,
আমি তো নারীদের গাংচিলের সাথে তুলনা করেছি,
যে গাংচিলেরা সারি বেধে উড়তে জানে পথ চলতে জানে। কিন্তু সেই গাংচিলের পায়ে যদি বেড়ি পরানো হয় সেটা কতটা কস্টকর!! হয়ত সবাই তামাশা নিতে পারেন কিন্তু সত্যিই আজ হয়ত আমাদের নারীদের ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।
তবে এ নারীর পথ চলাটা আজ থেকে নয়।
বেগম রোকেয়া নারী জাগরনের যে পথ দেখিয়েছেন তার পর আর নারীদের পিছু ফিরতে হয় নি। হ্যা অনেক নিপীড়ন অত্যাচার সহ্য করতে করতে আজ নারীরা এই পর্যন্ত এসেছে।হ্যা আর ঘুরে দাঁড়ায় নি নারী। তবুও আজ ও নারীদের অধিকার সব জায়গায় সমান ভাবে সৃস্টি হয় নি।আর এই বৈষম্য সৃস্টি করেছে সমাজের কতিপয় হীন্য কিছু মানুষ। যারা আজও নারীদের নীচ চোখে দেখে আর পায়ের তলানী মনে করে। হয়ত তারা বোকার রাজ্যে বাস করছে। তবুও তাদের এত টুকু বিবেক বোধ জাগ্রত হয় নি। অনেক পীর সুফি মনে করেন নারীরা সোনার মত এমন যে তাকে আলমারিতে বন্ধ করে রাখতে হয়, এমন মতবাদও আজকের যুগে প্রচার হচ্ছে। আবার কেউ কেউ নারীদের শয়তানের প্রলোভনকারীও মনে করেন। আমি বলি যদি নারীরা শয়তানের প্রলোভনকারী হয় তাহলে পুরুষ কোন অংশে কম নয়। কারন আজকের দিনে একজন নারী বাসে বসে খুন হচ্ছে কিছু পুরুষরুপী পশুর কাছে, অত্যাচারিত হচ্ছে, ধষিত হচ্ছে। এসব কি শয়তানের প্রলোভন নয়!!!

যেসব পুরুষ নারীদের হেয় মনে করে যেসব পীর সুফিরা নারীদের পায়ের তলানী মনে করে তাদের উচিত মূর্খের রাজ্যে গিয়ে বাস করা। এদেশের শাসন ভার একজন নারীর হাতে সে দেশে কিভাবে আজো নারী নিপীড়িত অত্যাচারিত হচ্ছে।
!!
নারী কোন ভোগ বিলাসের বস্তু নয়। নয় কোন খেলার সামগ্রী।আজকের নারী মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে,বিভিন্ন প্রশাসনে কাজ করছে। আজকে নারী শাসক, আজকে নারী বিচারক, আজকে নারী উকিল, আজকের নারী পুলিশ, আজকের নারী আকাশে বিমান উড্ডয়নে জয়ী। কোথায় নেই নারীর ভুমিকা। আমাদের ই এগিয়ে আসতে হবে তাদের জন্য যেসব নারীরা আজও অবহেলিত নিপীড়িত। আমরা প্রতিষ্ঠাবান নারীরাই পারি এমন অনেক অবহেলিত নারীদের উদ্ধার করতে, সুন্দর একটি জীবন উপহার দিতে পারি। আমাদের প্রচেষ্টাই আমাদের দেশের এসব অবহেলিত নারীদের মাথা তুলে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। আজকের নারীরা সম্মুখ পথে এগিয়ে যাবে আমাদেরই হাত ধরে।

আমাদেরই নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে।যেন আমাদের দেশ একটি সুন্দর দেশে পরিনত হয়। যে দেশে কোন অন্যায় অহংকার অথবা নারীবিদেষ থাকবে না। আমরাই পারি এমন একটি সুন্দর দেশ জাতি উপহার দিতে। এক্ষেত্রে কিছু সচেতন পুরুষ কিছু সচেতন তরুন সমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায়। আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস।

আর এই দিবসে আমাদের সকলকে এভাবেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। নারীদের কে মুক্ত গাংচিলের মত করেই বাচার আশা যোগাতে হবে। আজকের নারী মুক্ত গাংচিল হয়েই দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে, পৃথিবীর মুখ উজ্জ্বল করবে।
জয় মুক্ত গাংচিল,জয় নারীর জয়।

প্রবন্ধ বিভাগের আরো খবর

আরও খবর