বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে ভাবা উচিত। জাতীয় দলের একের পর এক ক্রিকেটারের সঙ্গে নারীঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর আসছে। এবার এমনই অভিযোগ নিয়ে বিসিবির দুয়ারে হাজির হলেন পেসার মোহাম্মদ শহীদের স্ত্রী ফারজানা আক্তার। দুই ছোট সন্তানকে নিয়ে এসে বিসিবি সভাপতি বরাবর তিনি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মিরপুরে বিসিবির কার্যালয়ে।
এরপর সাংবাদিকদের ফারজানা বলেছেন, ‘বিসিবিকে জানানো হয়েছে। বিসিবি সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ওরা ওর বাবাকে (শহীদ) ডেকে সব সমস্যার সমাধান করে দেবে বলেছেন।’
শহীদের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগটা কী, সেটি খোলাখুলি বলতে চাননি ফারজানা। বোঝা গেছে, তিনি আপস চান। সংসার বাঁচাতে চান। এ কারণে সমাধানের পথ খুঁজছেন, ‘আমি আমার অভিযোগগুলো লিখিত দিয়েছি। যেটা হয়েছে, তার সব ওনাদের (বিসিবি) কাছে জানানো হয়েছে। ওনারা বলেছেন, সমস্যার সমাধান করে দেবেন। যদি সমাধান না হয়, বিচার না হয়, আমি বলব। ওনারা আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’
ফারজানা এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের কিছু না বললেও বিসিবির কাছে তাঁর দেওয়া অভিযোগপত্রে দেখা গেছে, শহীদের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ নারীঘটিত। ফারজানা তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, ২০১১ সালে দুজনের বিয়ে হয় পারিবারিকভাবে। তখন শহীদদের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না, তবে সংসার ছিল সুখের। কিন্তু ২০১৫ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর থেকে শহীদ বদলে যেতে শুরু করেন। এ সময় একাধিক নারী ভক্তের সঙ্গে শহীদের ঘনিষ্ঠতা হয়েছে বলে দাবি ফারজানার।
এ নিয়ে সাংসারিক অশান্তি চরমে উঠলে বাধ্য হয়ে ফারজানা মুন্সিগঞ্জে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হলেও সব ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণে বিসিবির দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। ফারজানার অভিযোগ, তাঁদের ১১ মাস বয়সী মেয়ে আরোহীকে এখনো শহীদ কোলে পর্যন্ত নেননি। অন্য সন্তান আরাফের বয়স আড়াই বছর।
শহীদ দাবি করেছেন, ‘সিইও স্যার (বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী) আমাদের মীমাংসা করে দিয়েছেন। বিষয়টার মীমাংসা হয়ে গেছে। আমার স্ত্রী এখন বাড়ি চলে যাবে।’
এ নিয়ে গত দুই বছরের মতো সময়ে জাতীয় দলের চার ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে নারীঘটিত অভিযোগ উঠল। এর আগে আরেক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে উঠেছে শিশু নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ। এসব খবর আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও ফলাও করে প্রচারিত হয়, যা দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তির জন্যও ভালো নয়। বিষয়টি নিয়ে বিসিবির সত্যিই ভাবা দরকার।
প্রথম আলোর সৌজন্যে ভিডিওটি দেখুন:
আপনার মতামত লিখুন :