আম ও কলা পাকানোর জন্য অতিরিক্ত মাত্রায় রাসায়নিক পদার্থ ইথিফোন ব্যবহার করার অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন র্যাব-১০-এর একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার (২৮ মে) কোতয়ালী থানার বাদামতলী এলাকায় র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান ভেজালবিরোধী ওই আদালত পরিচালনা করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন র্যাব-১০-এর এএসপি সোহরাব হোসাইন ও এএসপি মো. রেজাউল করিম।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, কোতয়ালী থানার বাদামতলী এলাকায় অভিযানে আমের আড়ত ঝুমুর এন্টারপ্রাইজে আম এবং রবজল মিয়ার কলার আড়তে কলা পাকানোর জন্য অতিরিক্ত মাত্রায় ইথিফোন ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। রাসায়নিক দ্রব্যটি মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
র্যাব-১০-এর এএসপি সোহরাব হোসাইন জানান, ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে বিষাক্ত ইথিফোন রাসায়নিক ব্যবহার করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯-এর ৪২ ধারা মোতাবেক ঝুমুর এন্টারপ্রাইজ নামে আমের আড়তের মালিক মো. জাহিদ হোসেনকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং রবজল মিয়ার কলার আড়তের মালিক মো. রবজল মিয়াকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘ঝুমুর এন্টারপ্রাইজ আমের আড়ত থেকে ১৬টি খাঁচায় আনুমানিক আড়াইশ কেজি বিষাক্ত ইথিফোনমিশ্রিত আম এবং রবজল মিয়ার কলার আড়ত থেকে দুইশ পাঁচ কাঁধি ইথিফোনমিশ্রিত কলা ধ্বংস করা হয়। পাশাপাশি খেজুর আড়তে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ সঠিক থাকায় এবং পরিবেশ স্বাস্থ্য হানিকর না থাকায় খেজুর আড়ত মালিকদের ধন্যবাদ দেওয়া হয়।’
আসামিরা তাৎক্ষণিক জরিমানা পরিশোধ করায় তাদেরকে কারাদণ্ড থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে জানান র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান।
তথ্য সুত্র: বাংলাট্রিবিউন
আপনার মতামত লিখুন :