বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় ২৮ মে বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে নানা আয়োজনে। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নিরাপদ প্রসব চাই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চল যাই।’
এ উপলক্ষে ২৭ মে (শনিবার) রাজধানী মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ম্যাটারনাল হেলথ কর্মসূচির উদ্যোগে নিরাপদ মাতৃত্ব-২০১৭ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তারা মাতৃস্বাস্থ্য, নিরাপদ প্রসব, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সেবার গুণগত মান সম্পর্কে মা, পরিবার ও সমাজের সর্বস্তরে সচেতনতা নিশ্চিত করায় জোর দেন। এ সময় বিশেষজ্ঞরা জানান, দেশে প্রতিদিন গড়ে ১৪ জন মা প্রসবজনিত কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুবরণ করছেন।
এ হিসেবে বছরে ৫ হাজার ১১০ জন মা প্রসবজনিত জটিলতায় মারা যাচ্ছে। তবে শতকরা ৪২ শতাংশ প্রসব দক্ষদের হলেও অবশিষ্ট ৫৮ শতাংশ প্রসব বাড়িতে অপ্রশিক্ষিতদের হাতে হচ্ছে।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশে প্রতি বছর ৩০ থেকে ৩২ লাখ শিশু জন্ম নেয়। এর মধ্যে বাড়িতে ৭২ শতাংশ ও হাসপাতালে ২৮ শতাংশ সন্তান জন্ম নিচ্ছে। এ ছাড়াও ৩০ ভাগ প্রসূতি মাকে প্রাইভেট হাসপাতালে সিজার করাতে হচ্ছে। তবে চলমান চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচিতে (২০১৭-২০২২) মাতৃস্বাস্থ্যকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ ধারাবহিকতায় সব মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালগুলোর সঙ্গে ১৫৯টি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে সমন্বিত জরুরি প্রসূতি সেবা কার্যক্রম বিদ্যমান আছে। পাশাপাশি মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রগুলোতেও সীমিত আকারে এ সেবা দেয়া হচ্ছে।
এ সময় তিনি মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে প্রথম সন্তান প্রসবের পর তিন বছর বিরতি নেয়ার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে গর্ভবতী মায়েদের ভারী জিনিস বহন না করা, নিয়মিত টীকা নেয়ার পাশাপাশি এন্টিনেটাল কেয়ার বা পোস্ট নেটাল কেয়ার নেয়া এবং বাড়িতে প্রসবকালীন জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত ক্লিনিক ও হাসপাতালে নেয়ার জন্য স্বজনদের প্রতি আহ্বান জানান।
আপনার মতামত লিখুন :