কি হবে এখন। কি বের হবে তথ্য। এমপি লিটন হত্যার রহস্য উদঘাটনে পাঁচ তথ্য সামনে রেখে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মৌলবাদী শক্তির টার্গেট, ব্যক্তিগত শত্রুতা, জেলা পরিষদ নির্বাচন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও জেএমবির কিলিং মিশনকে সামনে রেখে তদন্ত করছে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ। তারা বলছেন, যেকোনো সময় হত্যাকারীকে শনাক্ত করে সামনে আনা হবে।
শেষ বিকালে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের হিসাব মেলাতে তিনি আসেন নিজ বাড়িতে। জুয়েল, রবিউল আউয়াল, শরিফুল, আলহান, আলামিন, তারাজুল, মোস্তফা, রাকিবসহ অন্তত ১২ কিশোর ক্রিকেট খেলছিল। তাদের কে বাধা মনে করে সন্ত্রাসীরা তাদের খেলা বন্ধ করে দেয়। আর এমপি লিটনকে বলে,এদিকে আসুন। ভেতরে চলেন কথা আছে। এই বলে পূর্ব দুয়ারী ঘরে ঢুকতেই জালানা দিয়ে গুলি। এ সময় পাশের রুমে ছিলেন নিহতের বড় ভাই বেদারুল আহসান বেতার ও লিটনের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি। পরে বুঝতে পারেন ওই অপরিচিত যুবকরাই তাকে গুলি করে পালিয়েছে। এরপর আর কাউকে দেখাও যায়নি।
তবে হত্যা মিশনে ঠিক কতজন সন্ত্রাসী অংশ নিয়েছে তা নিয়ে নানা মত রয়েছে। কেউ বলেন ৫ জন, কেউ বলেন তার চেয়েও বেশি। এদিকে স্বামীর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে দুই চোখে পানি ধরে রাখতে পারলেন না লিটনের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি। একটু আড়াল হতেই শত্রুরা ওকে গুলি করে পাখির মতো হত্যা করলো।
সুন্দরগঞ্জে তদন্তকারী দারোগা বলেন, আমরা ৫টি বিষয়কে সামনে রেখে তদন্তে নেমেছি। এদিকে আজ এমপি লিটনের কুলখানি হয়। চারদিকের এলাকা এখনও থমথমে।
আপনার মতামত লিখুন :