শীতকাল মানেই একটু স্বস্তি একটু আরামবোধ। বেশীরভাগ মানুষের কাছেই শীতকাল অনেক প্রিয়। আবার অনেকের কাছেই শীতের সময়টা আতংকের। বলছি তাদের কথা যারা শ্বাসকষ্টে ভোগেন। যাদের হাঁপানী অথবা শ্বাসকষ্ট আছে তাদের সমস্যার শেষ থাকেনা এই সময়টাতে।
সাধারনত, এই সময় অতিরিক্ত ধুলা-বালি বাতাসে উড়তে থাকে বলে এলার্জী জনিত কারনে এই শ্বাসকষ্টের সৃষ্টি হয়। এছাড়া শীতকালে ব্যবহার্য সব লেপ,কম্বল ও তুলে রাখা কাপড় ভালোভাবে ধুয়ে ব্যবহার না করলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাবে।
এই সময়ে খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও হতে হবে সচেতন। এলার্জী জাতীয় যেকোনো খাবার যেমন- ইলিশ মাছ, কচুমুখী, চিংড়ি মাছ, গরুর মাংস, শুটকি, বেগুন,পুইশাঁক, পালংশাঁক, টমেটো, ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
আসুন জেনে নেই শ্বাসকষ্টের কারন ও লক্ষনসমূহঃ
১. বংশগত কারনে শ্বাসকষ্টের উৎপত্তি।
২.তামাক ও ধুমপান জাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার।
৩.চোখ, মুখ, নাকে চুলকানির মাধ্যমে শ্বাসকষ্টের সৃষ্টি।
৪.জ্বর, গলা ব্যাথা, নাকদিয়ে পানি পড়া, ক্রমাগত হাঁচি দেয়া শ্বাসকষ্টের লক্ষন।
৫.বাতাসে ধুলা-বালি ও অস্বাস্থকর পরিবেশে বসবাস।
৬.শীতের সময় হালকা বুকে ব্যাথা অনুভব ও কফ জমে শ্বাসকষ্টের সৃষ্টি হতে পারে।
শ্বাসকষ্টের সময় করনীয়ঃ
১.এলার্জী জনিত খাবার পরিত্যাগ করতে হবে।
২.স্বাস্থকর পরিবেশে বসবাস করতে হবে।
৩.নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শে চলতে হবে।
৪. ঘরের আসবাব-পত্র পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এবং কাপড় পরিধানে পরিচ্ছন্ন হতে হবে।
৫.ঘরে ও বাইরে বের হলে গরম জামা সবসময় পরিধান করতে হবে।
৬.ঘরে কীটপতঙ্গের উপদ্রব হলে তা নির্মুল করতে হবে।
শ্বাসকষ্ট এমন একটি রোগ যেটি সঠিক সময়ে নিরাময় না হলে এর পরিনতি অনেক ভয়াবহ হতে পারে। তাই প্রাথমিক ভাবেই যদি একটু সচেতন হয়ে এর প্রতিকার করা যায় তবে ভয়ের কোনো কারন থাকেনা। নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শে চলুন নিজে সুস্থ থাকুন ও অন্যকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করুন।
আপনার মতামত লিখুন :