মুষান্না ইমি, নিউজরুম এডিটর
আফজাল হোসেনের নির্মিত একটি টিভিসির মাধ্যমে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু। একই বছর এস এম দুলালের ‘সাতকাহন’ নাটক দিয়ে ক্যারিয়ারের একের পর এক কাজের মাধ্যমে সামনের পথ এগিয়ে চলা। বলছি ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ সাঈদ বাবুর কথা। ‘সাতকাহন’ নাটকে তার কো-আর্টিস্ট ছিলেন নাসিম এবং চাঁদনী। তার সবলীল অভিনয়ের মধ্য দিয়ে দর্শকদের মন অনেক আগেই জয় করে নিয়েছেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
বর্তমানে ধারাবাহিক নাটকেই বেশী কাজ করছেন তিনি। নাটকের জায়গায় কোন সেক্টরে কাজ করতে বেশী ভালো লাগে জবাবে সাঈদ বাবু অলরিপোর্ট২৪.কম কে বলেন, দুই ক্ষেত্রেই আমি কাজ করে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। তবে একক নাটকে নিজেকে উপস্থাপনের সুযোগটা বেশী থাকে। বিশেষ দিনগুলোতে তাই একক নাটক করা হয় বেশী। আর ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেও মজা পাই তবে শুটিংয়ের শুরুতে বেশ তোড়জোড় থাকলেও পরবর্তীতে শুটিং ধীরগতিতে হয় বলে কাজের স্পৃহা ও কমে যায়।
আর একক নাটকে আগের মতো বাজেট না থাকায় নাটকের মান কমে গেছে ফলে দর্শকও এখন একক নাটকের প্রতি মনোযোগ হারিয়ে ফেলছে। এটা সত্যিই মিডিয়ার জন্য দুঃসংবাদ বললেন সাঈদ বাবু।
অনেক ভালো টিভিসির মডেল হিসেবে এ পর্যন্ত কাজ করেছেন বাবু। ব্যাটে-বলে না মিলায় এই মুহূর্তে অনেক টিভিসির কাজই ফিরিয়ে দিচ্ছেন তিনি। তবে প্রানের একটি টিভিসির কথা চলছে সবকিছু ঠিক থাকলে হয়তো খুব শিগগিরই করা হবে।
বড়পর্দায় কাজের ইচ্ছা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাঈদ বাবু বলেন, এখন পর্যন্ত বড়পর্দায় তেমন উল্লেখযোগ্য কাজ করা হয়নি। তবে অভিনেত্রী মৌসুমী নাগের বিপরীতে বক্সিং নিয়ে নির্মিত ‘চ্যাম্প’ নামের একটি ছবিতে কাজ করেছি কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ছবিটি মুক্তি পায়নি। এছাড়া, অতিথি শিল্পী হিসেবে নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল এর একটি ছবিতে কাজ করেছি। পরিচালক সোহেল আরমান নির্মিত ‘এইতো প্রেম’ ছবিতেও একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছি। তবে মূলধারার ছবিতে কাজ করার ইচ্ছা আছে। এজন্য, ফাইট ,নাচ ইতিমধ্যেই শেখা শুরু করে দিয়েছি। ভালো কোনো সুযোগ আসলেই যাতে নিজের যোগ্যতা প্রমান করতে পারি মূলধারার ছবিতে।
পরিবারের ছােট ছেলে বলেই তার নাম বাবু। বাবা-মায়ের অনেক অাদরের ছেলে তিনি। তাই সবথেকে আবদার মায়ের কাছেই বেশী তার। মায়ের হাতের গরুর মাংস রান্না ও চালের রুটি তার অনেক পছন্দের খাবার। বাবু সব ধরেনর পোশাকই পড়েন তবে প্রিয় পোশাকের তালিকায় আছে জিন্স ও পান্জাবী।
অভিনয় শিল্পী সমিতির আন্দোলনের কথা প্রসঙ্গে সাঈদ বাবু বলেন, এই আন্দোলনটা অনেক আগেই করা উচিৎ ছিলো এটার বিষয়ে আমরা সবসময় সোচ্চার ছিলাম। তবে কিছু মানুষের স্বার্থের কারনে এতদিন এটাকে লালন করা হয়েছে । আজ যখন তাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে তাই তারা উঠে পড়ে লেগেছে। ইন্ডিয়াকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজের সংস্কৃতিকে আমরা নিজেরাই ধ্বংস করার পায়ঁতারা করেছি। তবে দেরীতে হলেও যেহেতু আন্দোলন হয়েছে আশা করি সামনে ভালো কিছুই হবে। সব মিলিয়ে একটি সুন্দর সংস্কৃতির চর্চা হবে এই দেশে এমনটাই আশা করেন সাঈদ বাবু। সামনে আরও ভালো কিছু দর্শকদের উপহার দেয়ার প্রত্যাশা করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :