মরহুম মেজর জেনারেল (অব.) খোন্দকার মো. নূরুন্নবীর শেষকৃত্য


Sharif Khan প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৯, ২০১৬, ৮:৫৪ PM / ১২৬
মরহুম মেজর জেনারেল (অব.) খোন্দকার মো. নূরুন্নবীর শেষকৃত্য

স্টাফ রিপোর্টার

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের গোলরক্ষক মেজর জেনারেল (অব.) খোন্দকার মো. নূরুন্নবী আর আমাদের মাঝে নেই। গত বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…..রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

পরিবারের পক্ষ থেকে তার ভাগিনা আশিক জানান, আগামীকাল শনিবার ১০ ডিসেম্বর সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে তার মরদেহ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকে ডিওএইচএস বারিধারা ৫ নং রোডের ৩৪০ নং বাসায় আনা হবে। এরপর দুপুর ১২টায় ডিওএইচএস বারিধারা মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রিয় জামে মসজিদে মরহুমের শেষ নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়ে বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন হবে। উল্লেখ্য, ১৯৪৬ সালের ৩১ শে জুলাই বরিশালে জন্ম গ্রহন করেন।

খোন্দকার নূরুন্নবী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে প্রথম ব্যাচে কমিশন লাভ করেন। এবং তিনি আট নম্বর সেক্টরে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেন। ১৯৬৫-১৯৭০ খোন্দকার নূরুন্নবী যোগ দিয়েছিলেন ঢাকা মোহামেডানে। তিনি ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় ফুটবল দলে সুযোগ পান। সে সময় পাকিস্তান, ইরান ও তুরস্ককে নিয়ে আয়োজিত আরসিডি ফুটবল প্রতিযোগিতায় পাকিস্তান জাতীয় ফুটবল দলের গোলরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ‘ঢাকা স্টেডিয়াম থেকে সেক্টর আট’ ও ‘বিবর্ণ পদ্মা ধূসর গরাই’ তার রচিত দুটি ৭১ এর গৌরবদীপত সময় অবলম্বনে মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস। খোন্দকার নূরুন্নবীর সাত ভাই এবং চার বোন।

ভাইদের মধ্যে চতুর্থ এবং ভাইবোনদের মধে সপ্তম। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযোদ্ধে যোগ দেন। সেই বছর ৯ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রথম কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের সাথে কমিশন লাভ করেন এবং ৮নং সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেন। ১৯৮১ এর শেষ দিকে লেঃ কর্নেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৮৯ তে কর্নেল, ১৯৯২ তে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এবং ১৯৯৮ সালে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন। চাকরি জীবনে বিভিন্ন স্টাফ অফিসার, তিনটি পদাতিক ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, রাঙামাটি বিডিআর সেক্টর কমান্ডার, ঢাকার লজিস্টিক্স এরিয়া কমান্ডার এবং মেজর জেনারেল হিসাবে আনসার এবং ভিডিপির মহাপরিচালক ছিলেন।

২০০১ সালের মাঝামাঝি সময়ে চাকরি থেকে অবসর নেন। তার স্ত্রী রওশন আক্তার, মেয়ে তানিয়া নবী এবং ছেলে আসাদুন নবীকে নিয়েই ছিল তার সংসার। এছাড়া আছে মেয়ের ঘরের দুই নাতনী তামরিন ও তাহরিন। ২০০২ সালে তিনি ক্রীড়াক্ষেত্রে ফুটবলে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন।