সম্প্রতি পেপসিকো গ্লোবালের উদ্যোগে নেয়া হয়েছিলো ফারাজ হোসেন সাহসিকতা পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার ‘ফারাজ হোসেন সাহসিকতা পুরস্কার ২০১৬’ দেওয়া হবে। সহকর্মীর প্রতি সহমর্মিতার দৃষ্টান্ত হিসেবে কোনো ব্যক্তির অনন্য সাহসিকতার স্বীকৃতি দেওয়া জন্যই মূলত এই পুরস্কার। বাংলাদেশি তরুণ বা তরুণীদের মধ্যে সাহসিকতার স্পৃহাকে উদ্দীপ্ত করতে এবং ফারাজের চেতনা জাগিয়ে তোলাই এই পুরস্কারের লক্ষ্য।
বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারকমণ্ডলী প্রস্তাবিত তরুণ বা তরুণীদের মধ্য থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করেছেন। এ লক্ষ্যে স্যার ফজলে হাসান আবেদকে আহ্বায়ক করে আট সদস্যের জুরিবোর্ড গঠন করা হয়। জুরিবোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবরার আনোয়ার, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, পেপসিকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মনিষ মুলে, ঢাকার আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক সাবাহাত জাহান এবং ফারাজের নানা ও ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান।
গত ১ জুলাই ঢাকার হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়ানক হামলার ঘটনায় নিহত হন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফারাজ আইয়াজ হোসেন। পুরস্কারের ঘোষণায় পেপসিকো গ্লোবালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনি প্রকৃত বন্ধুত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বন্ধুদের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। ফারাজের প্রতিনিধিত্বশীলতার মধ্য দিয়ে বিশ্ব এখন জানে, বাংলাদেশ এ ধরনের মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে দাঁড়ায়।
আজ সেই পুরস্কার ঘোষনা করা হবে। পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি স্বীকৃতি সনদের পাশাপাশি পুরস্কার হিসেবে পাবেন ১০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি বছর থেকে শুরু হওয়া এ পুরস্কার প্রথমবার হস্তান্তর করবেন পেপসিকো গ্লোবালের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইন্দ্রা কে নুয়ি। শুধু এ বছরই নয় আগামী ২০ বছর পর্যন্ত এ পুরস্কার দেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :