শিশুর বেড়ে ওঠায় ইন্টারনেট আসক্তি


Sharif Khan প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৮, ২০১৬, ১:১৮ PM / ১১৯
শিশুর বেড়ে ওঠায় ইন্টারনেট আসক্তি

ক্লাস সেভেনে পড়া ছেলে অন্তু। পড়াশুনায় মন নেই, পরিবার থেকেও অনেকটা নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে বললেই চলে। স্কুল থেকে প্রায় সময় অভিযোগ আসে অন্তুর নামে তার রেজাল্ট দিনের পর দিন খারাপ হয়। অন্তুর বাবা-মা বুঝতে পারছিলোনা কেনো এমন হচ্ছে অন্তুর সাথে। মূলত অন্তুর বয়স যখন দশ বছর তখনই তার মামা তাকে একটি ট্যাবলেট কিনে দিয়েছিলো জন্মদিনের উপহার হিসেবে। আর তাতেই অন্তুর মনোযোগ চলে যায় নিত্ত্যনতুন গেম খেলার দিকে।

শুধু অন্তু না বর্তমান সমাজে ইন্টারনেট আসক্তিতে ছোট ছোট শিশুরা এমনভাবে ঝুঁকে পড়ছে তাতে করে এদের ভবিষ্যৎ হয়ে পড়ছে অন্ধকারাচ্ছন্ন। ইন্টারনেট ব্যবহারে যেমন রয়েছে সুফল তেমনি রয়েছে অনেক বড় কুফল বিশেষ করে ছোট শিশুদের মনোযোগ কেড়ে নিচ্ছে পরিবার ও পাঠ্যবই থেকে। চলুন ইন্টারনেট ব্যবহারে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে ও তার সমাধান কি আছে জেনে নেই।

১.ইন্টারনেট আসক্তির কারনে কারো সাথে কথা না বলা। নিজের মধ্যে ডুবে থাকা।
২.ইন্টারনেট সংযোগ কোনো কারনে বন্ধ থাকলে মন খারাপ করা ও মেজাজ খিটখিটে করা।
৩.ইন্টারনেট ব্যবহারে বাধা দিলে সবার সাথে খারাপ আচরন করা অথবা কথা বন্ধ করে দেয়া।
৪.বাবা-মায়ের কাছে সকল বিষয় লুকানোর চেষ্টা করা। মিথ্যে কথা বলার অভ্যাস করা।

সমাধান ঃ আপনার শিশুকে সময় দিন। সে কি চায় মনোযোগ দিয়ে শনুন এবং তাকে অন্যদিকে আকর্ষিত করুন যেমন গল্পের বই পড়া ও কিছু সময় টিভি দেখা, স্কুলের অনুশীলন ঠিক সময়ে করা। একটা সময় বেধে দিন যেনো সে সেই সময়টুকু ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। তার ইন্টারনেট গেম নিয়ে কথা বলুন প্রয়োজনে আপনি নিজেই তার সাথে কিছু সময় খেলুন এবং নতুন গেম ডাউনলোড করে দিন তবে তাকে সময় সম্পর্কে অবহিত রাখুন। আপনার শিশুর ভালোলাগা খারাপলাগা গুলো জানুন এবং তাকে আর্ট, গান অথবা যেকোনো এন্টারটেইনমেন্ট কাজ্ওে সম্পৃক্ত করুন যাতে সে সময়টাকে অন্যদিক্ওে ব্যহত করতে পারে। তার ইচ্ছা-অনিচ্ছাগুলো সম্পর্কে জানুন এবং তাকে সেই বিষয়ে সাহায্য করুন যদি সেটা যুক্তিযুক্ত হয়। তাকে আপনাদের উপর নির্ভর হতে শেখান তাহলে আস্তে আস্তে সে সব কিছু শেয়ার করতে সাহস পাবে।

আপনি তার অভভিাবক না হয়ে বন্ধুর মতো আচরন করুন দেখবেন আপনি যা বলবেন সেটি মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং ইন্টারনেট আসক্তিও অনেক কমে আসবে। শিশু বেড়ে ওঠার সাথে সাথে তার যেমন প্রয়োজন ভবিষ্যৎ গড়তে মনোযোগী হওয়া তেমনি বাবা-মা হিসেবে আপনার দায়িত্ব তাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করা।