বিশেষ প্রতিবেদক, মুষান্না ইমি
গানের জগতে একটি নতুন মুখ সাফিয়া আফরোজ ইথি। তিনি এ জগতে নতুন হলেও সুরের মায়াজালে একটু একটু করে সামনের পথে প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলছেন প্রতিভাবান এই সঙ্গীত শিল্পী। তার আরও একটি পরিচয় রয়েছে সেটি হলো ইথি সাব-ইন্সপেক্টর হিসিবে বর্তমানে মালিবাগে স্পেশাল ব্রান্চে কর্মরত আছেন। ইথি’র বাবা শামসুল হক পেশায় উকিল ও একজন নাট্যকর্মী। তার নিজস্ব থিয়েটার রয়েছে জামালপুরে। মা পল্লী দরিদ্র ফাউন্ডেশনে আছেন। ইথিরা তিন ভাই-বোন এর মধ্যে ইথি সবার বড়। তার নাচ ও গানের সকল অনুপ্রেরনা যুগিয়েছেন তার মা।
জামালপুরে বেড়ে ওঠা মেয়ে ইথি যখন দ্বিতীয় শ্রেনীতে পড়েন তখন থেকেই গানের হাতেখড়ি তার বোন সেলিনা বেগমের হাতে যিনি এখন জামালপুরের শিল্পকলায় গানের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। এছাড়া ইথি নাচের তালিমও নিয়েছেন শিল্পকলা থেকে। তিনি দেশাত্মবোধক ও লোকগীতির জন্য গোল্ড মেডেল ও পেয়েছেন।
ইথি এপর্যন্ত তিনটি মিক্সড অ্যালবামে বেশ কয়েকটি ডুয়েট গান করেছেন। অ্যালবামগুলো হলো- ভালোবাসার বৃষ্টি, প্রেম প্রজাপতি, সারাটা জীবন। গীতিকার রাজন সাহার লেখা ও সুরে গান গেয়েছেন তিনি। নিজের কোনো অ্যালবাম করার ইচ্ছে আছে কিনা জানতে চাইলে ইথি বলেন, ইতিমধ্যেই একক অ্যালবামের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি খুব শিগগিরই শেষ করতে পারবো। তবে এর মধ্যে একটি মৌলিক ও একটি ফোক গানের মিউজিক ভিডিও করা হয়েছে সিনার্ট প্রডাকশন হাউজ থেকে।
গান গাওয়ার ক্ষেত্রে কাজে কোনো প্রভাব পড়ে কিনা এমন প্রশ্নে ইথি বলেন, পুলিশ ডিপার্টমেন্ট এ কাজ করে আমি আরও আমার সহকর্মীদের কাছ থেকে উৎসাহ পাই অনেক বেশী। এমনকি আমার যারা বস আছেন তারাও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অমাকে গান গেতে বলেন। ব্যাপারটা সত্যিই আমাকে অনেক অনুপ্রেরনা যোগায়।
যেহেতু তার বাবা একজন নাট্যকর্মী তাই তার অভিনয়ের ইচ্ছা আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, না একেবারেই ইচ্ছা নেই। আমি গানের মানুষ গান নিয়ে থাকতে চাই এবং গানের ভুবনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই সামনের পথ চলতে চান সাফিয়া আফরোজ ইথি।
আপনার মতামত লিখুন :