মাশরাফি বিন মুর্তজা’ মানেই ম্যাজিক। একবার না বারবার সেটা প্রমান দিয়েছেন তিনি। ১৬ কোটি বাঙ্গালী যেন তার দিকেই চেয়ে ছিলো এবং শেষ পর্যন্ত তাই হলো। নিরাশ করেননি তার দেশের প্রানপ্রিয় মানুষগুলোকে। অনবদ্য এক জয়ের মাধ্যমে বদ করে দিলো ইংল্যান্ডকে।
খেলার ধরন দেখে একবার মনে হয়েছিল ২০০ রানও হবে না। ৭৫ রান করে ফেরার পর মাহমুদ উল্লাহর হতাশাটা তাই খুব যৌক্তিক ছিল। অসাধারণ দায়িত্বশীলতার পরিচয় তিনি দিয়েছেন ব্যাট হাতে। গড়েছেন ৫০ এর মাঝে দুট জুটি। কিন্তু গেল কয়েক ম্যাচে শেষে ধসে পড়া বাংলাদেশকে নিজের হাতে বদলালেন মাশরাফি।
তিনি লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান। হালে না থাকলেও ব্যাট হাতে এক সময় জেতানোর ইতিহাস আছে মাশরাফির। ফিরে আসা নাসির হোসেনকে (২৭ বলে অপরাজিত ২৭) নিয়ে ৪৯ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৯ রানের অষ্টম উইকেট জুটি মাশরাফির।
২৯ বলে তিন ছক্কা ২ চারে তার ৪৪ রানের গল্প অনেক দিন মুখে মুখে ঘুরবে। এরপর প্রথম স্পেল ৬-০-২১-৩। ম্যাচের শেষে যা ৮.৪-০-২৯-৪। ম্যান অব দ্য ম্যাচ মাশরাফি ছাড়া আর কে!
অধিনায়কের ব্যাট বোলারদের নির্ভরতা দিল। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে আউট হয়েছিলেন মাশরাফি। ফিরে প্যাড-ট্যাড বদলে আবার ঝাঁপিয়ে পড়া বোলিং শ্যু পরে। এরপর দ্রুতই বোলার-ফিল্ডার-সমর্থকদের মাঝে জয়ের বিশ্বাসটা ছড়িয়ে দেওয়া। দেখতে না দেখতে ২৬ রানে শীর্ষ ৪ ব্যাটসম্যান নেই ইংল্যান্ডের।
মাশরাফি চার ওভারের মধ্যে তিন উইকেট নেন মহা দাপটে। জ্যাসন রয়ই (১৩) কেবল দুই অঙ্কে যান। নতুন বলে ইনিংস ওপেন করা সহ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অসাধারণ স্পিনে বেন ডাকেটকে শূণ্য হাতে ফেরালেন। ইংলিশরা কাঁপতে থাকে।
তাসকিনই ৩০তম ওভারে ক্রিস ওকসকে তৃতীয় শিকার বানিয়ে ফেলেন। ২৭ রানে ৪ উইকেট পড়লো। ১৩২ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের ফেরার পথ রুদ্ধ! ইংল্যান্ড দলে শেষ পর্যন্ত অল-রাউন্ডার। কিন্তু অতিমানব তো তারা নন! শেষ দুই উইকেটে ১০৭ রান!
তবু শেষ জুটিতে ম্যাচের টানটান ম্যাচের উত্তেজনা অনেকটাই ফিরে আসে আদিল রশিদ (অপরাজিত ৩৩) ও জেক বলের (২৮) শেষ উইকেট জুটিতে। ৩৭ বলে ৪৫ এল। কিন্তু মাশরাফির হাতেই গল্পের শেষটা লেখা ছিল।
আপনার মতামত লিখুন :