মুক্তাগাছায় ৭০ কেজি নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ
মুক্তাগাছা উপজেলা শহরের আটানি বাজার থেকে ৭০ কেজি নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ করেছে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ রানা'র নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ফেরদৌস তাজ; মুক্তাগাছা উপজেলা শহরের আটানি বাজার থেকে ৭০ কেজি নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ করেছে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ রানা’র নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও মুক্তাগাছা থানা পুলিশ।
সূত্রে জানা যায়, মুক্তাগাছা উপজেলার আটানি বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ বিক্রির খবর পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত প্রায় ৭০ কেজি পিরানহা মাছ জব্দ করে। এ সময় বিক্রয়কারীকে আসামীকে পায়নি কোর্ট।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাছগুলোকে মালতীপুর মাদ্রাসা, আয়েশা সিদ্দিকা মাদ্রাসা, লক্ষীখোলা মাদ্রাসা, লিচুতলা হাফেজিয়া মাদ্রাসা, মণ্ডলসেন মাদ্রাসা, ফাতেমা জামান মাদ্রাসায় বিলি করেন।
মোঃ মাসুদ রানা জানান, ২০১৭ সালে পিরানহা মাছ, মাছের রেণু ও পোনা আমদানি করলে জেল জরিমানার বিধান রেখে মৎস্য সংঘ নিরোধ আইন-২০১৭ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিপরিষদ। এই আইন অমান্য করলে দুই বছরের জেল ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
এখন পুকুরে বা ঘেরে যদি পিরানহা মাছ চাষ করা হয় এবং সেই মাছ যদি পানিতে ভেসে অবরুদ্ধ স্থান থেকে মুক্ত জলাশয় যেমন নদী, খাল বিলে চলে আসে। তখন তাদের আক্রমণে দেশীয় ছোট বড় সব মাছ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
মূলত এই মাছ খেলে কোনও স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই তবে পরিবেশগত ঝুঁকি রয়েছে অনেক। তবে পিরানহা মাছ ও আফ্রিকান মাগুর মাছের উৎপাদন, বিপণন, বিক্রি ও সংরক্ষণ স্থায়ীভাবে বন্ধ করা না গেলে বাংলাদেশের ২৬০ প্রজাতির স্বাদু পানির মাছ এবং ৪৭৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ অধিকাংশ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
কিন্তু বাংলাদেশে এখনও এসব মাছ প্রকাশ্যেই উৎপাদন ও খোলা বাজারে বিক্রি হতে দেখা যায়। যা বেশিরভাগ সময় থাই রূপচাঁদা বা সামুদ্রিক চান্দা নামে বিক্রি হয়।
তিনি সকলকে পিরানহা মাছ খাদ্য তালিকা হতে বাদ দিতে আহবান জানান। উৎপাদন, বিক্রয় যেন করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে বলেন।