২ আগস্ট, মুক্তাগাছা গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তাগাছার সর্বাধিক সংখ্যক নিরীহ মানুষকে পাক হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদরদের সহায়তায় নির্বিচারে ও নৃশংসভাবে হত্যা করে।
গণহত্যা দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ করোনাকালীন পরিস্থিতিতে স্বল্প পরিসরে ডৌয়াখলা বধ্যভূমিতে পুস্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে মুক্তাগাছা গণহত্যা দিবস পালন করে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কে এম খালিদ এমপি’র পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পরে এ উপলক্ষে শহীদ ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে বাদ জোহর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণহত্যার শিকার সকল শহীদ এবং ৭৫ এর ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউএনও সুবর্ণা সরকার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবুল কাশেম প্রমূখ।
উল্লেখ্য, একাত্তরের ২ আগস্ট ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ৬ নং মানকোন ইউনিয়নে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে ও নৃশংসভাবে বর্বর গণহত্যা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ ২৫৩ বাঙালিকে গুলি করে হত্যা করে।
আপনার মতামত লিখুন :