এই পথে
বেসামাল পাবন পুড়া চপ্পল ছটা
ঘছ ঘছ শব্দে পথিক আপন করে চলে তার ভাবনাকে
উত্তল আহাজারী পায়ে ঠেলে এগুতে থাকে
জ্বরে ভোগা ছোট্টো শিশুর ভাঙ্গাকুলা জননী
প্লাস্টিক স্যান্ডেলে টপকা শব্দ
বেদনা সন্ধের রাজমিস্ত্রী বিষ্টি যাতন জপে
গা-ছাড়া দোলে বিড়ির অন্তিম টানে শুকনো বাসনা খোঁজে
কেউবা নতুন মুখো মানবের আগমনী কারন জিগায়
একটু আগে একছিটা বিষ্টি ঝরে যাবার পর
কালো তকতকে পথটায় এক ছিলিম হাওয়া বয়ে যায়
এ হাওয়া বড় কালো
নব বিভীষিকার নামান্তর
রমণীর গলা কন্টা দেখানো কষ্টের মূল্য দপ করে নিভে যায়
ফুসে ওঠা ষাঁড়ের গজে প্রিয় মানবীর হাত আদর আবার ফিসে আসে
মন ডুবে
কল্পনার আল্পনা মেপে
ভুলতে গেলে চাপরাসি মোহ নিরাকার ছন্দে পথ ঘুরাবে
ব্রহ্মচারী নিঃশেষ পরাজয় জেনে
স্বপ্নজালে বাঘাজানা ঘাটে আসন পাতে
বিচ্ছিরি গন্ধ রোদ চাঁদ আলো খেলে যায় রোজ এ পথে
অন্ধাকার ফোঁরে কতো শতো গল্প অভিমানে পালিয়ে বেড়ায়
শুধু স্বাক্ষী থেকে যায় কালো পিচ
আর পিচ ঘেঁষা নরম তৃণ…..
আপনার মতামত লিখুন :