সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীতে প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে আরকাইভস ও তথ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে জনগণের চাহিদা ও প্রত্যাশা যুক্তিসঙ্গত কারণেই বদলে যাচ্ছে।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্য ধারণ, সংরক্ষণ ও সংরক্ষিত তথ্যের ব্যবহারের ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। সঙ্গত কারণেই পাঠক, গবেষকসহ আপামর জনসাধারণ জানতে আগ্রহী যে কী পদ্ধতিতে মানবজাতির সৃষ্টিশীল কাজকর্ম আরকাইভসে সংরক্ষিত হবে বা হচ্ছে এবং এগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে কতটা নিরাপদে ও অবিকৃতভাবে পৌঁছানো হবে।
এরূপ চ্যালেঞ্জ, প্রত্যাশা ও চাহিদা মোকাবেলায় আরকাইভস ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে আধুনিক ও যুগোপযোগী করা গড়ে তোলা হচ্ছে এবং একইসঙ্গে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরকে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দায়িত্ব পালনের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হচ্ছে। আরকাইভস ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক, যুগোপযোগী ও ডিজিটাল করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পও হাতে নেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ সচিবালয়স্থ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিজ অফিস কক্ষ থেকে অনলাইন অ্যাপ ‘জুম’ এর মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক আরকাইভস সপ্তাহ ২০২০ (০৮-১৪ জুন ২০২০) উপলক্ষে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি।
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় আলোচক হিসাবে আলোচনা করেন বাংলাদেশ আরকাইভস এণ্ড রেকর্ড ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি (বারমস) এর সভাপতি প্রফেসর ড. শরীফ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সাবেক অতিরিক্ত সচিব জালাল আহমেদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য) সাবিহা পারভীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মিসবাহ কামাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এবারের আরকাইভস সপ্তাহের প্রতিপাদ্য হচ্ছে “Empowering Knowledge Societies”.
সূত্রঃ প্রতিমন্ত্রীর ফেইসবুক পেইজ।
আপনার মতামত লিখুন :