শনিবার সকালের সেশনে পাকিস্তান ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হেনেছিলেন আবু জায়েদ রাহী। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে পাঠিয়েছিলেন ফর্মে থাকা ওপেনার আবিদ আলিকে। একই চিত্র দেখা গেলো, তৃতীয় দিন সকালের দ্বিতীয় ওভারেও।
এবার রাহীর শিকার বাবর আজম। তিনিও আউট হয়েছেন তৃতীয় দিনে কোনো রান করার আগেই। শুধু রাহীই নয়, আজ (রোববার) সকালে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাংলাদেশের অন্য দুই পেসার রুবেল হোসেন এবং এবাদত হোসেনও। যার ফলে কমে এসেছে পাকিস্তানের বড় লিডের সম্ভাবনা।
দিনের প্রথম সেশন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৪২০ রান। তাদের লিড এখন ১৮৭ রানে। আজকের সকালের সেশনে ৭৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলের আশার প্রতীক হিসেবে টিকে রয়েছেন শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হারিস সোহেল।
বাবর আজম ও আসাদ শফিকের জুটিতে দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে লিডটা ১০০’র গণ্ডি পার করেছিল পাকিস্তান। তৃতীয় দিনে এ দুজনের ব্যাটে ভর করেই বড় লিডের আশা ছিলো দলটির। বিশেষ করে সেঞ্চুরি করে ফেলা বাবর আজমের ওপরই ছিলো বেশি প্রত্যাশা।
কিন্তু আজ (রোববার) ম্যাচের তৃতীয় দিন সকালে বাবরকে এক বলের বেশি খেলতেই দিলেন না বাংলাদেশের পেসার আবু জায়েদ রাহী। দিনের দ্বিতীয় বলেই তাকে সাজঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন রাহী। আগেরদিন করা ১৪৩ রানের সঙ্গে আর এক রানও যোগ করতে পারেননি বাবর।
শনিবার শেষ বিকেলে এবাদ্ত হোসেনের ওভার অসম্পূর্ণ রেখেই দিনের সমাপ্তি ঘোষণা করেছিলেন আম্পায়াররা। আজ সকালে তাই সে ওভারের এক বল করেন এবাদত। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই বল হাতে তুলে নেন রাহী।
আর সে ওভারের প্রথম বলেই বাবরকে পরিণত করেন মোহাম্মদ মিঠুনের ক্যাচে। রাহীর করা বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে মারবো না ছাড়বো করতে করতে ব্যাটের বাইরের কানায় লাগিয়ে ফেলেন বাবর। যা সরাসরি চলে যায় প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো মিঠুনের হাতে।
মাত্র ৩ রানে জীবন পেয়ে সেঞ্চুরি করা বাবর শেষতক আউট হলেন আরও ১৪০ রান যোগ করে। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার বেশি সময় ব্যাট করে ১৯ চার ও ১ ছয়ের মারে ১৯৩ বলে ১৪৩ রান করেছেন তিনি।
বেশিদূর যেতে পারেননি আসাদ শফিকও। বাবরের আউটের পর সতর্ক-সাবধানী হলেও বাঁচাতে পারেননি নিজের উইকেট। এবাদত হোসেনের বলে দিনের নবম ওভারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। আউট হওয়ার আগে করেন ৬৫ রান। এরপর উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ফেরান রুবেল হোসেন।
দ্রুত উইকেট পতন দেখে চালিয়ে খেলতে শুরু করেন হারিস সোহেল। মাত্র ৭২ বলে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি। তবে তাকে যথাযথ সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন ইয়াসির শাহ। রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে যান ব্যক্তিগত ৫ রানে। লাঞ্চ ব্রেক পর্যন্ত হারিস ৫২ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি ৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :