পাকিস্তান সফরের টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের লাইনআপ কেমন হবে? কজন ব্যাটসম্যান, কজন পেসার ও স্পিনার খেলবে?- খুব স্বাভাবিকভাবে এ জল্পনাকল্পনাই হচ্ছে বেশি। কিন্তু এখনকার খবর, টাইগারদের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ দিয়েই দিয়েছেন। কে কে ওপেন করবেন? ওয়ান ডাউন খেলবেন কে? মিডল অর্ডারের কোন পজিসনে কারা খেলবেন?- দেশ ত্যাগের আগে আজ দুপুরে সংবাদ সন্মেলনে কথা প্রসঙ্গে তা জানিয়ে দিয়েছেন রাসেল ডোমিঙ্গো। কোচের কথায় পরিষ্কার, টেস্ট অভিষেক হচ্ছে সাইফ হাসানের। ভারত সফরে দলে প্রথমবার জায়গা পেলেও টেস্ট ক্যাপ পরার সুযোগ হয়নি সাইফের। তবে এবার রাওয়ালপিন্ডিতে ৭২ ঘন্টা পর পাকিস্তানের সঙ্গে যে টেস্ট শুরু হবে, তাতে খেলবেন সাইফ। দেশসেরা ওপেনার ও এই তো মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি করা তামিম ইকবালের সঙ্গী হিসেবে সাদমান ইসলামের জায়গা নিতে যাচ্ছেন সাইফ। কোচ আজ (সোমবার) পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, সাইফকে তামিম ইকবালের সাথে ওপেনারের ভূমিকায় দেখা যাবে। এছাড়া বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল তিন নম্বর ব্যাটসম্যান মুমিনুল হকও এবার তার চিরচেনা ব্যাটিং পজিসনে খেলবেন না। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাটিং পজিসন হবে চার নম্বর, তিনে খেলানো হবে নাজমুল হোসেন শান্তকে। মোহাম্মদ মিঠুন খেলবেন পাঁচে আর অভিজ্ঞ ও দলের সিনিয়র সদস্য মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নামবেন ছয় নম্বরে। ব্যাটিং পজিসন জানিয়ে হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমি মুমিনুলকে চারে খেলানোর কথা ভাবছি। আমার তিন নম্বরে প্রথম পছন্দ নাজমুল হোসেন শান্ত। আর সাইফ ও তামিম ইনিংসের সূচনা করবে। পাঁচ নম্বরে খেলানো হবে মোহাম্মদ মিঠুনকে। আর ছয়ে খেলবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তারপর সাত নম্বরে প্রথম পছন্দ হিসেবে ভাবছি লিটন দাসের কথা।’ কোচের মুখে আর কারো নাম শোনা না গেলেও, এরপর সৌম্য সরকারকে বিবেচনায় আনা হতে পারে। সেই সঙ্গে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল অফস্পিনার নাইম হাসানের অন্তত একজন অবশ্যই খেলবেন। দুজনকে খেলানোর সম্ভাবনাও প্রচুর। তবে যদি টি-টোয়েন্টি সিরিজের মত তিন পেসার ফর্মুলা অব্যাহত থাকে, তাহলে অনিবার্যভাবেই সৌম্য নাইমের মধ্যে একজন বাদ যাবেন। তখন সাত ব্যাটসম্যান তামিম, সাইফ, শান্ত, মুমিনুল, মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ আর লিটনের সঙ্গে বাঁহাতি অর্থোডক্স তাইজুল এবং তিন পেসার আবু জায়েদ রাহি, এবাদত হোসেন ও আল আমিন হোসেন-রুবেল হোসেনের যেকোন একজন খেলবেন। এদিকে কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো অবশ্য ওপরের দলকে শুধু রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের সম্ভাব্য দল বলে মন্তব্য করেছেন। তার কথা, ‘এ দলটি শুধুই প্রথম টেস্টের জন্য। আমরা পারফরম্যান্স পাখির চোখে পরখ করবো। তারপর দেশে ফিরে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের আগে বসে এই পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে দল সাজাবো।’ এদিকে টি-টোয়েন্টি সিরিজের মত টেস্টের আগেও কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর কণ্ঠে মুশফিককে না পাওয়ার আক্ষেপ। তার কথা, ‘আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, মাথায় রাখতে হবে যে মুশফিক ভারতের বিপক্ষে টেস্টে রান পেয়েছে। কিন্তু আমাদের এখন তাকে ছাড়া দল সাজাতে হচ্ছে। অবশ্যই তার জায়গায় আর কাউকে খেলাতে হবে। আবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুশফিক ফিরলে তখন এই জায়গায় পরিবর্তন আনতে হবে। বিষয়টি সহজ নয়। আমি চাই মুশফিকের জায়গায় কেউ এসে রান করুক। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, ভারতের বিপক্ষে মুশফিকই ছিল আমাদের সেরা পারফরমার।’
আপনার মতামত লিখুন :