সাগরকন্যা কুয়াকাটায় ময়লার ভাগাড়


Ranjan প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৩১, ২০২০, ১:৩৬ PM /
সাগরকন্যা কুয়াকাটায় ময়লার ভাগাড়

সাগরকন্যা কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে ৫ কিলোমিটার পূর্বে গঙ্গামতি সৈকতে দাঁড়িয়ে প্রতিদিন সূর্যোদয়ের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করেন হাজার হাজার পর্যটক। অথচ ময়লা-আবর্জনা ফেলে সেই গঙ্গামতি সৈকতের পরিবেশ দূষিত করছে স্বয়ং কুয়াকাটা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। জিরো পয়েন্টের পূর্ব ও পশ্চিম দিকের দুই কিলোমিটার সৈকতেও নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা ফেলার অভিযোগ রয়েছে সৈকতের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। জোয়ারের সময় ওই ময়লা-আবর্জনা ভেসে যাচ্ছে সাগরের পানিতে। এতে দূষিত হচ্ছে সাগরের পানিও। পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক কুয়াকাটা সৈকতে বেড়াতে গিয়ে দূষিত বায়ুর কারণে মুখ ফিরিয়ে নিলেও এ বিষয়ে নজর নেই সৈকত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের। গঙ্গামতির স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক হোসেন জানান, গঙ্গামতি লেক সংলগ্ন প্রায় অর্ধকিলোমিটার সৈকতজুড়ে সম্প্রতি ময়লা-আবর্জনা ফেলা শুরু করে কুয়াকাটা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন গাড়ি বোঝাই করে পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ময়লা-আবর্জনা ফেলছে সৈকতে।

রবিউল ইসলাম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, কুয়াকাটা সৈকত এমনিতেই নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। তার ওপর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ময়লা ফেলায় প্রতিনিয়ত সৈকতের বাতাস বিষাক্ত হচ্ছে।

কুয়াকাটা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক রুমন ইমতিয়াজ তুষার বলেন, চলতি শীত মৌসুমে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আসছে কুয়াকাটায়। বনভোজনের বাস আসে শতাধিক। এসব পর্যটকরা সৈকতের যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলেন। এতে গোটা সৈকত অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং কুয়াকাটা পৌর কর্তৃপক্ষ পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে একে অপরের ওপর দায় চাপাচ্ছেন। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, সমুদ্র সৈকতকে ঘিরেই কুয়াকাটা পৌরসভা গঠন করা হয়েছে। কিন্তু সৈকতের প্রাকৃতিক রূপ রক্ষা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের নজর নেই। কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা গঙ্গামতি এলাকায় ময়লা আবর্জনা ফেলেছে বলে তিনি শুনেছেন। ভুলে এটা হয়ে গেছে। নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় নিরুপায় হয়ে ময়লা আবর্জনা বিভিন্ন স্থানে ফেলতে হয়।