ফুলবাড়িয়া উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেয়ার নামে নেয়া ঘুষের দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা ফেরত দিলেন ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার মকবুল হোসেন। পল্লী বিদ্যুতের অভিযুক্ত কর্মচারী আবুল বাশারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে উপজেলার রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গ্রাহকসেবায় পল্লী বিদ্যুতের উঠান বৈঠকে ৮৭ জন গ্রাহকের মাঝে ঘুষের টাকা ফেরত দেয়া হয়।
জানা যায়, চার বছর আগে উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের চারটি পাড়া থেকে পল্লী বিদ্যুৎ ফুলবাড়িয়া জোনাল অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আবুল বাশার মোল্লা নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে ৮৭ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে দেড় হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেন।
দীর্ঘ দিনেও ওই গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছিল ভুক্তভোগীদের মাঝে। বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপনে অনিয়মের ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ময়মনসিংহ-১ এর ডিজিএম (কারিগরি) মোস্তাফিজুর রহমান তদন্তে এলে এলাকাবাসী তার কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে প্রমাণিত হয় অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আবুল বাশার মোল্লার ঘুষ-বাণিজ্যের ঘটনাটি। ঘুষ নেয়ার অভিযোগে আবুল বাশারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। অভিযুক্ত আবুল বাশার কোনো উপায়ান্তর না দেখে ঘুষ হিসেবে নেয়া টাকা জিএমের কাছে হস্তান্তর করেন।
বুধবার বিকেলে গ্রাহক সেবায় পল্লী বিদ্যুতের উঠান বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘুষের টাকা গ্রাহকদের মাঝে ফিরিয়ে দেন জিএম মকবুল হোসেন। এ সময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- ডিজিএম (কারিগরি) মোস্তাফিজুর রহমান, ডিজিএম অনিতা বর্ধন প্রমুখ।
রঘুনাথপুর পশ্চিমপাড়ার মোস্তফা বলেন, বিদ্যুতের জন্য ঘুষ দেয়ার চার বছর পর ঘুষের পাঁচ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছি। কল্পনাও করতে পারিনি গ্রামের মানুষ ঘুষের টাকা ফেরত পাবে।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার মকবুল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত আবুল বাশারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :