‘পরিকল্পিত ফল চাষ যোগাবে পুষ্টি সম্মত খাবার’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মুক্তাগাছা উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসন ও ওয়ার্ল্ডভিশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় ৩দিন ব্যাপি ফলদ বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন করা হয়।
সোমবার সকালে র্যালি, আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কেএম খালিদ এমপি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ির ময়মনসিংহের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল মাজেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আরব আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুর্শিদা আক্তার কাকলি, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ফায়জুল ইসলাম ভূঞা, ওসি আলী মাহমুদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ ময়মনসিংহ জেলার সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আমীন ফারুক।
উল্লেখ্য, এবার উপজেলা চত্বরে ২২টি স্টলে সাজানো হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ। উপজেলা কৃষি অফিসের কৃষি পণ্য প্রদর্শনী, নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি প্রদর্শনী, কৃষি যন্ত্রের প্রদর্শনী, ঔষধী বৃক্ষ, ওয়ার্ল্ডভিশন বাংলাদেশ মুক্তাগাছা, উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্র, বনবিভাগ, সচেতন মহিলা সমিতি, রেজ্জাক নার্সারী, আশিক নার্সারী, মধুবন নার্সারী, বনলতা নার্সারী, সবুজপাতা নার্সারী, ইসলাম নার্সারী, বিস্মিল্লাহ নার্সারী ও বাগানবাড়ী নার্সারী।
এদিকে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, মুক্তাগাছা তাদের ‘হত দরিদ্র উন্নয়ন প্রকল্প’ ফলদ ও বৃক্ষ মেলায় প্রদর্শন করে। ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল এই তিন বছর মেয়াদী প্রকল্পটি ৮৯৬ জন হত দরিদ্র নারীদের স্থায়ী উন্নয়নকে লক্ষ্য করে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পটি ৮২০ জনকে ১টি করে বকনা বাছুর বিতরণ, ৮৯৮ জনকে বসত বাড়ীতে সারা বছর সবজী চাষ প্রশিক্ষণ ও বীজ ও চারা বিতরণ, কেঁচো কম্পোস্ট, জৈব বালাইনাশক, পিট কম্পোস্ট, হস্তশিল্প উৎপাদন প্রশিক্ষণ ও বিক্রয় সুবিধা প্রদান করছে। এছাড়া প্রকল্পটি হত দরিদ্র নারীদের দল গঠন ও পরিচালনা, সঞ্চয় গঠন ও পরিচালনা, নারী ক্ষমতায়ন ও পারিবারিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। ইতিমধ্যেই প্রকল্পটির ব্যপক সুফল হত দরিদ্র পরিবারগুলি উপভোগ করা শুরু করেছে; সমিক্ষা অনুযায়ী হত দরিদ্র পরিবারগুলি শুধু বসত ভিটায় গড়ে ৩০.৫ কেজি সবজি উৎপাদন ও অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে গড়ে মাসে ৮৬২.৩৯/= টাকা উপার্জন করছে। এছাড়াও পরিবারগুলির পাঁচ বছরের নিচে স্বাস্থ্যবান শিশুদের সংখ্যা বিগত বছরের তুলনায় এবছর ৬.৮৭% বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানায়।
আপনার মতামত লিখুন :