ধেয়ে আসছে ফণী -মোংলায় ৭, চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত


F.Taj প্রকাশের সময় : মে ২, ২০১৯, ২:৪৪ PM /
ধেয়ে আসছে ফণী -মোংলায় ৭, চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আঘাত হানার আশঙ্কায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (নং-২৮) বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

সকাল ৯টায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১ হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা থেকে ৯১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অফিস সবশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে, এটি আরও ঘণীভূত ও উত্তর/উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে ৩ মে বিকেল নাগাদ ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে অতিক্রম করতে পারে। সন্ধ্যা নাগাদ উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে খুলনা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছাতে পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ৩ মে সকালে থেকে খুলনা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ‘ফণী’র অন্তর্বর্তীকালীর্ন প্রভাব শুরু হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার যা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। এজন্য মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে আগের ৪ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজারে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণীঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ¡াসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা সমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রæত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পযন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।