ওড়িশা উপকূল ছুঁয়ে ‘ফণী’ আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশে


F.Taj প্রকাশের সময় : মে ১, ২০১৯, ৩:৩১ PM /
ওড়িশা উপকূল ছুঁয়ে ‘ফণী’ আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশে

হ্যারিকেনের গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আগামী শুক্রবার (৩ মে) নাগাদ ভারতের ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এরপর এ উপকূল ছুঁয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশর ভূখণ্ড অতিক্রম করতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে আসা-না আসার বিষয়ে এখনই স্পষ্ট করে কিছু জানাতে চান না বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদরা।

এদিকে বুধবার দুপুর থেকে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বরের পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।

কোনো ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার হলে তাকে হ্যারিকেনের গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় বলে। ২১৯ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি বাতাসের গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়কে বলে ‘সুপার সাইক্লোন’।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র বাংলাদেশে আসার আশঙ্কা আছে, তবে তীব্রতা কী পর্যায়ে থাকবে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা উপকূল ঘেঁষে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশ অভিমুখে আসতে পারে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর বুধবার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ৩ মে ভারতের ওড়িশার গোপালপুর ও চাঁদবালি উপকূল এবং পুরির দক্ষিণাঞ্চল অতিক্রম করতে পারে। তখন বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭৫ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ায় রূপ নিয়ে ২০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া বিভাগ আরও জানায়, ‘ফণী’ বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।