একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরংকুশ বিজয় উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশ আজ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সমাবেশে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। জাতীয় নেতৃবৃন্দও সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। সমাবেশ শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়। তবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবে দুপুর বারোটায়। সকাল এগারোটায় সমাবেশস্থলে প্রবেশের গেইট খুলে দেয়া হবে।
এদিকে শনিবারে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিজয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আওয়ামী লীগ। সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে দলের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, ঢাকা ও তার আশপাশের জেলার আওয়ামী লীগ ও দলীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রস্তুতি সভা করেছে দলটি।
এ উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভার আয়োজন করে। তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। তিনি শনিবারের বিজয় সমাবেশ, উৎসব নয় উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সমাবেশ বর্ণিল কিন্তু সুশৃঙ্খল হবে। নেত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়া পর্যন্ত সবাই উপস্থিত থাকার নির্দেশনাও দেন তিনি।
এছাড়াও এর আগে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সঙ্গেও প্রস্তুতি সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাধীনতার পর এ বিজয় সমাবেশকে স্মরণীয় করে রাখতে বিপুল জনসমাগমের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি বাসসকে বলেন, বিজয় সমাবেশকে সফল করতে দলের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, বিভিন্ন সহযোগি সংগঠন ও ঢাকার আশে-পাশের জেলার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ বিজয় সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগমের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সমাবেশের মঞ্চ, সাজসজ্জা, মাঠ পরিষ্কার করা হয়েছে। খাবারের পানি, পয়:নিষ্কাশনের ব্যবস্থাসহ সকল প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। সমাবেশস্থলে কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যও ব্যবস্থা থাকবে। সমাবেশে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নেতা-কর্মীদের মিছিলে বহন করে আনা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। উদ্যানের ৬টি গেইটের মধ্যে শিখা চিরন্তন গেইট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতীয় নেতৃবৃন্দ, ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনের গেইট দিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিরা প্রবেশ করবেন। তিন নেতার মাজার সংলগ্ন গেইট, বাংলা একাডেমীর সামনের গেইট, টিএসটি গেইট ও চারুকলার সামনের গেইট দিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রবেশ করবেন।
সমাবেশস্থলকে নান্দনিক শৈল্পিকভাবে সাজানো হয়েছে। সমাবেশের বিশাল প্যান্ডেলে প্রায় ত্রিশ হাজার চেয়ার বসানো হবে বলে জানানো হয়। অনুষ্ঠানে কয়েক লাখ লোকের সমাবেশ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৫৭ টি আসনে জয়লাভ করে। – বাসস
আপনার মতামত লিখুন :