শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে ১১ জনের ২০ বছর করে এবং একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জাহিদুল কবির এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর একই আদালত এ দিন ধার্য করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে ফ্রিডম পার্টির নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। তিনি তখন ওই বাসাতেই থাকতেন এবং ঘটনার সময় ওই বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। এ ঘটনায় বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ৩২ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করে এবং হামলাকারীরা তখন ‘কর্নেল ফারুক-রশিদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়।
পরবর্তী সময়ে মামলাটি তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ১১ জনকে অভিযুক্ত করে দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক আইনের দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলার আসামিরা হলেন—গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, জজ মিয়া, ফ্রিডম সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, গাজী ইমাম হোসেন, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল, মিজানুর রহমান, হোমায়েন কবির, মো. শাজাহান বালু, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রশীদ, জাফর আহমেদ ও এইচ কবির। আসামিদের মধ্যে প্রথম চারজন কারাগারে, শেষের তিনজন পলাতক এবং অপর আসামিরা জামিনে রয়েছেন। ২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :