অবসাদ কাটাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বিশ্রামে ছিলেন সাকিব আল হাসান। ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করতেই বিসিবির থেকে সাময়িক ছুটি নিয়েছিলেন। বিশ্রাম শেষ, এবার ফেরার পালা। রঙিন পোশাকে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে আজ সকালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিমান ধরছেন সাকিব। ফ্লাই এমিরেটসের সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের বিমানে প্রথমে দুবাই যাবেন তারা। এরপর দুবাই থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে পৌঁছাবেন। ৮ অক্টোবর দলের সঙ্গে যোগ দেবেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র। মাশরাফি ও সাকিবের সঙ্গী হচ্ছেন নাসির হোসেন ও সাইফউদ্দিন। ব্লুমফন্টেইন টেস্ট শেষে দেশের বিমান ধরবেন শফিউল ইসলাম, শুভাশিস রায় ও তাইজুল ইসলাম। দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছে অনুশীলনে নেমে পড়বেন ওয়ানডে স্কোয়াডের ক্রিকেটাররা। মূল ম্যাচে মাঠে নামার আগে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে ৫০ ওভারের একটি প্রস্ততি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে ওয়ানডে স্কোয়াডের ক্রিকেটাররা। ১২ অক্টোবর হবে ম্যাচটি। ১৫ অক্টোবর হবে প্রথম ওয়ানডে। পরের দুটি ওয়ানডে ১৮ ও ২২ অক্টোবর।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ায় ওয়ানডে সিরিজ খেলে ২৩ অক্টোবর দেশে ফিরে আসবেন মাশরাফি। ২৬ অক্টোবর শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই ম্যাচ দিয়ে সাকিব আল হাসান আবারও বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্বে ফিরছেন। ২৯ অক্টোবর দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ৩০ অক্টোবর শেষ হবে বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ৭টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। ৬টিতেই হেরেছে। ২০০৮ সালে দুই দলের সবশেষ ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছিল। টি-টোয়েন্টিতেও একই চিত্র। ২ ম্যাচের ২টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। দেশের বাইরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুধু একবারই ওয়ানডেতে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৭ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ৬৭ রানে প্রোটিয়াদের হারিয়েছিল হাবিবুল বাশারের দল। এবার মাশরাফির হাত ধরে বিজয়ের কেতন ওড়ানোর পালা!
আপনার মতামত লিখুন :