তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ময়মনসিংহ-৫ মুক্তাগাছা আসনের এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি বলেছেন, উন্নয়নের স্বার্থে মুক্তাগাছার সকল দল, সকল জনগোষ্ঠী এক ও অভিন্ন। সবাই মুক্তাগাছার উন্নয়ন চাই। তবে এটা বুঝাতে হবে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন হলে শব্দ দূষন, বায়ু দূষন ও পরিবেশ বিপর্যয় হয়ে জনগনের কোন ক্ষতি হবে না। জনগনের শতভাগ স্বার্থরক্ষা হলেই মুক্তাগাছা সত্রাশিয়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শহীদ হযরত আলী অডিটোরিয়ামে ইউনাইটেড কোম্পানী কর্তৃক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন নিয়ে চলমান আন্দোলন নিরসনকল্পে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা সরকারের সভাপতিতে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাকারিয়া হারুন, ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জিএম মোঃ মকবুল হোসেন, ওসি আক্তার মোর্শেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আজিজুল হক ইদু, সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সরকার, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আকবর আলী সরকার, সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান অতুন, সাংবাদিক ফোরামের আহবায়ক ফেরদৌস আলম, ইউনাইটেড কোম্পানীর পক্ষে সিইও বড়–য়া, সিওও আশরাফ, জিএম (ইঞ্জিঃ) শহীদ, জিএম (প্রশাসন) মেজর শহীদ, প্রজেক্ট ম্যানেজার নীতিশ কুমার প্রমূখ।
সভায় একুশ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
উল্লেখ্য বর্তমান সরকার আগামী বছর থেকে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘোষণা দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে সরকার কয়েকটি কোম্পানিকে বেসরকারিভাবে ডিজেল চালিত ১৭টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেয়। ওইসব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে জমা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ইউনাইটেড গ্রুপ ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে মুক্তাগাছা উপজেলার সত্রাশিয়া এলাকায় ইউনাইটেড ময়মনসিংহ পাওয়ার লিমিটেড নামে ১৩ একর জমি কিনে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু করে। গত ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। এলাকার গ্রামবাসী পরিবেশ বিপর্যয় হওয়ার আশঙ্কায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন যে কোনো মূল্যে বন্ধ করার ঘোষণা অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার দাবিতে এলাকাবাসী অনুমোদনের আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করার পর থেকেই প্রতিদিনই নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।
আপনার মতামত লিখুন :