রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিভক্ত নিরাপত্তা পরিষদ


F.Taj প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭, ৭:৩০ PM / ৬৭
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিভক্ত নিরাপত্তা পরিষদ

রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধদের চলমান সহিংসতার বিষয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রকাশ্যে কথা বলতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের সাতটি দেশ। বাকি আটটি দেশ এ ব্যাপারে এখনো নিরব রয়েছে। এর আগে জাতিসংঘ মিয়ানমারের চালানো সহিংসতাকে জাতিগোষ্ঠী নিধনের জ্বলন্ত উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ সাতটি দেশ আগামী সপ্তাহে এ ব্যাপারে একটি ব্রিফিংয়ের আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছে। বাকি চারটি দেশ হলো সুইডেন, মিসর, সেনেগাল ও কাজাখস্তান। কিন্তু চীন, রাশিয়া, বলিভিয়া, ইথিওপিয়া, ইতালি, জাপান, ইউক্রেন ও উরুগুয়ে এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দেয়নি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, উল্লিখিত সাতটি দেশ চায়, আগামী সপ্তাহে ইথিওপিয়ায় এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হোক।

গত ২৫ আগস্ট শুরু হওয়া সহিংসতার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ২২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চান, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সহিংসতা বন্ধে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিক।
সহিংসতা শুরুর পর নিরাপত্তা পরিষদ এ পর্যন্ত দুটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে এর নিন্দা জানিয়ে সহিংসতা বন্ধে একটি অনানুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে। কূটনীতিকরা বলছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে নিরাপত্তা পরিষদ আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিতে পারে। কিন্তু চীন ও রাশিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিতে রাজি হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। যদি না হয়, তাহলে কোনো প্রস্তাব পাস করা সম্ভব হবে না। কারণ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্যের (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়া) যেকোনো একটি দেশ ভেটো (আমি মানি না) দিলে কোনো প্রস্তাব পাস হবে না।