বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণে প্রতিবাদঃ মরণ সাথে নিয়ে আমরা বাঁচতে চাই না!


Tajul প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭, ৩:৩১ PM / ৩৫৭
বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণে প্রতিবাদঃ মরণ সাথে নিয়ে আমরা বাঁচতে চাই না!

ইউনাইটেড গ্রুপের নির্মাণাধীন ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণের প্রতিবাদ করতে এসে সত্রাশিয়ার অধিবাসী মোঃ মনিরুল ইসলাম খান (৩০) বলেন, ঘনবসতি এলাকায় পরিবেশ বিপর্যয় ঘটিয়ে যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে তা আমাদেরকে নিঃশেষ করা জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে। খোলা জায়গা বা আবাসিক এলাকা থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরবর্তী স্থানে এসব প্লান্ট নির্মাণের বিধি থাকলেও ইউনাইটেড গ্রুপ এলাকাবাসীর কথা চিন্তা না করে আমাদের বুকের মাঝে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে এলাকার কারও সাথে কোন রকম আলোচনা ছাড়াই তারা এ পরিকল্পান করে। অথচ বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণ হলে আমরা এলাকাবাসী পতিত হব জীবন ঝুকিতে। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মনিরুল আরও বলেন মরণ সাথে নিয়ে আমরা বাঁচতে চাই না।
বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণে প্রতিবাদঃমুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ থেকে মাত্র ১.২৫ কিলোমিটার পূর্বে টাঙ্গাইল-মহাসড়কের সত্রাশিয়া এলাকায় ময়মনসিংহ সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের সম্মুখে ইউনাইটেড গ্রুপ পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণের লক্ষে মাটি ভরাট করে। গত কিছুদিন যাবৎ জনৈক আরিফ আহমেদ কামালের ক্রয়কৃত জমির উপর মাটি ভরাটের কাজ চলছিল। এলাকার মানুষ এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের প্রথমে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও পরে সিরামিক কারখানা হবে বলে জানানো হয়। সম্প্রতি বিদ্যুৎ পাওয়ার স্টেশন নির্মাণের বিভিন্ন সরঞ্জাম দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ জাগে। বিভিন্ন সূত্রে তারা পাওয়ার স্টেশন নির্মাণের কথা শুনে এর মারাত্বক পরিবেশ দূষনের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে জোটবদ্ধ ভাবে এ স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে।
উল্লেখ্য গত ১৫ সেপ্টেম্বর পাওয়ার প্লান্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠান আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের মুখে বন্ধ হয়ে যায়। পরে গত রবিবার মুক্তাগাছা উপজেলায় ইউনাইটেড গ্রুপ কর্তৃক নির্মাণাধীন পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর চলমান আন্দোলনে বিক্ষোভ কর্মসূচীর স্থলে উপস্থিত হয়ে ময়মনসিংহ-৫, মুক্তাগাছা আসনের এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বলেন, মুক্তাগাছার মাটিতে জনগণের স্বার্থবিরোধী কোন কাজ করতে দেয়া হবে না। তিনি আরও বলেন জনগণকে নিয়ে কোন রকম ভাওতাবাজী খেলা করতে দেয়া হবে না। মুক্তাগাছার মাটিতে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপন হলে মুক্তাগাছার উন্নয়ন হবে, দেশের উন্নয়ন হবে। একথা যেমন সত্যি, তেমনি শব্দ দূষন, বায়ু দূষন ও পরিবেশ দূষন হলে যদি জনগণের ক্ষতি হয় সে রকম কোন কাজ করা যাবে না। এলাকায় কোন উন্নয়ন মূলক প্রতিষ্ঠান গড়তে গেলে অবশ্যই জনগণ সহযোগিতা করবে। কিন্তু অবশ্যই তা করতে জনগণের শতভাগ স্বার্থ রক্ষা করে।