তথ্যমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি এমপি বলেছেন মুক্তাগাছার মাটিতে জনগণের স্বার্থবিরোধী কোন কাজ করতে দেয়া হবে না। রবিবার বিকালে মুক্তাগাছা উপজেলায় ইউনাইটেড গ্রুপ কর্তৃক নির্মাণাধীন পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর চলমান আন্দোলনে বিক্ষোভ কর্মসূচীর স্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন জনগণকে নিয়ে কোন রকম ভাওতাবাজী খেলা করতে দেয়া হবে না। মুক্তাগাছার মাটিতে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপন হলে মুক্তাগাছার উন্নয়ন হবে, দেশের উন্নয়ন হবে। একথা যেমন সত্যি, তেমনি জনগণের ক্ষতি হয় সে রকম কোন কাজ করা যাবে না। এলাকায় কোন উন্নয়ন মূলক প্রতিষ্ঠান গড়তে গেলে অবশ্যই জনগণ সহযোগিতা করবে। কিন্তু অবশ্যই তা করতে হবে জনগণের শতভাগ স্বার্থ রক্ষা করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাকারিয়া হারুন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা সরকার, ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জিম মোঃ মকবুল হোসেন, ইউনাইটেড গ্রুপের প্রকল্প পরিচালক চন্দ্র শেখর, মুক্তাগাছা থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুবুল হক, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান অতুন, মুক্তাগাছা সাংবাদিক ফোরামের আহ্বায়ক ফেরদৌস আলম, ইউপি সদস্য শামীম আহমেদ প্রমুখ। সভায় এলাকার মানুষের সাথে আন্দোলনের একাত্বতা ঘোষণা করে এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাকারিয়া হারুন বলেন মুক্তাগাছার উন্নয়নের স্বার্থে আমরা সকল দলের নেতারা এক ও অভিন্ন।
সভায় সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক চন্দ্র শেখর জানান এস্থানে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটি নির্মাণ করা হবে।
উল্লেখ্য, মুক্তাগাছা পৌরসভা হতে ৩ কি.মি দূরে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ঘনবসতিপূর্ণ সত্রাশিয়া এলাকায় গত কিছুদিন যাবৎ জনৈক আরিফ আহমেদ কামালের ক্রয়কৃত জমির উপর মাটি ভরাটের কাজ চলছিল। এলাকার মানুষ এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের প্রথমে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও পরে সিরামিক কারখানা হবে বলে জানানো হয়। সম্প্রতি বিদ্যুৎ পাওয়ার স্টেশন নির্মাণের বিভিন্ন সরঞ্জাম দেখে এলাকাবাসী হতবাক হয়ে যায়। বিভিন্ন সূত্রে তারা পাওয়ার স্টেশন নির্মাণের কথা শুনে এর কুফলের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে জোটবদ্ধ ভাবে এ স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে। এ অবস্থায় উভয় পক্ষের কথা শুনার উদ্দেশ্যে স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আন্দোলনকারী ও ইউনাইটেড গ্রুপের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনায় বসেন।
এলাকাবাসী জানায় এ ঘনবসতি এলাকার মধ্যে রয়েছে ময়মনসিংহ শারীরিক শিক্ষা কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরসহ শত শত মানুষের ঘরবাড়ী। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ পাওয়ার স্টেশন স্থাপন হলে শব্দ দূষন, বায়ু দূষন হয়ে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটতে পারে। সমাবেশে এলাকার হাজার হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেয়।
আপনার মতামত লিখুন :