মুক্তাগাছায় সামাজিক কোরবানির মাংস যাচ্ছে বাড়ি বাড়ি


Tajul প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২, ২০১৭, ৫:৫০ PM / ৫১৬
মুক্তাগাছায় সামাজিক কোরবানির মাংস যাচ্ছে বাড়ি বাড়ি

মুক্তাগাছায় সামাজিক কোরবানির মাংস যাচ্ছে বাড়ি বাড়ি। শনিবার পবিত্র ঈদুল আযাহা উপলক্ষে পশু কোরবানির পর বিভিন্ন অঞ্চল ভিত্তিক সামাজিক কোরবানির মাংস উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চলছে ভাগাভাগি, যাচ্ছে বাড়ি বাড়ি। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কয়েক শত বছর ধরে চলছে এই সামাজিক কোরবানির মাংস বিতরণের কাজ। ধনী-গরিব সবাই এই মাংসের অংশীদার। ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা পৌর শহরের ঈশ্বরগ্রাম, মধ্যহিস্যা, মনিরামবাড়ীসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে এ সৌহাদ্য-স¤্রীতির বন্টন। তবে ঈশ্বরগ্রাম এলাকায় এ রেওয়াজটা লক্ষনীয়। শনিবার সরেজমিনে দেখাগেছে এলাকার ১১শ ৮৮টি পরিবারের মধ্যে যারা পশু কোরবানী দিয়েছেন তারা সকলেই এ সামাজিক কোরবানীতে তাদের এক ভাগ মাংস জমা দিয়েছেন। সন্ধ্যায় এলাকার সকল পেশাজীবী মানুষের মাঝে তা বিতরণ করা হবে।

মুক্তাগাছায় সামাজিক কোরবানির মাংস যাচ্ছে বাড়ি বাড়ি
ঈশ্বরগ্রামের আয়োজকরা জানান, ঈশ্বরগ্রাম এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় যারা পশু কোরবানি দেন, তারা প্রতিটি পশুর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ জমা দেন এই সামাজিক ভাগ-বণ্টনে। এই সমাজভুক্ত প্রত্যেকের বাড়ির জন্য একজন করে ভাগীদার ধরে মাংস ভাগ করা হয়। এবার ১১শ ৮৮টি করা হয়েছে সামাজিক কোরবানির মাংস। স্থানীয় মসজিদ থেকে মাইকিং করে আওতাভুক্ত বাড়ির মালিকদের ডেকে এনে মাংস বিতরণ করা হবে।
জানা যায়, জেলার ১৪টি উপজেলার অনেক গ্রামে এখনো ‘মসজিদভিত্তিক সমাজ’ প্রচলিত আছে। মসজিদ কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয় সমাজ। অনেক গ্রাম আছে, যেখানে কোরবানি হয় মসজিদ কমিটির মাধ্যমে। কোরবানির মাংস যাতে সমাজের সবার ঘরে পৌঁছায়, সে জন্য কোরবানির মাংস তিন ভাগের এক ভাগ মসজিদ চত্বরে জমা করতে বলা হয়। জমাকৃত মাংস মসজিদের আওতাভুক্ত প্রতিটি পরিবারকে একক ধরে ভাগ করা হয়। ধনী-গরিব সবাই সমান হারে ভাগ পায়। এই নিয়মে কোরবানির মাংস বণ্টন করার ফলে কোরবানির দিন কেউ মাংস থেকে বাদ যায় না।
ঈশ্বরগ্রামের বাসিন্দারা জানান, এ বছর ১১শ ৮৮টি বাড়িতে কোরবানির মাংস পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। একাজে তদারকি করেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা উপজেলা জাতীয়পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান লেলিন পৌর কাউন্সিলর মির্জা আবুল কালাম, সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিক নেতা মুখলেছুর রহমান পেল্টু, মাহবুবুল আলম, লোকমান হোসেন প্রমুখ।