রোহিঙ্গা নিপীড়ন বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি মিয়ানমারকে চাপ দেয়ার আহবান প্রধানমন্ত্রীর


F.Taj প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৩০, ২০১৭, ৫:৩৪ PM / ৫৭
রোহিঙ্গা নিপীড়ন বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি মিয়ানমারকে চাপ দেয়ার আহবান প্রধানমন্ত্রীর

রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশে জোর করে ঠেলে দেয়া (পুশিং) বন্ধ করতে মিয়ানমারের প্রতি চাপ প্রয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলস সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান। খবর: বাসস। বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এসব কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, মানবিক বিবেচনায় আমরা বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছি এবং এটি আমাদের জন্য একটি বিরাট সমস্যা। এজন্য মিয়ানমারের প্রতি প্রবল চাপ বাড়ানোর জন্য আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। প্রেস সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কোনো রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে কিনা। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ রয়েছে।

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এলিস ওয়েলস সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা আমাদের ভূমি ব্যবহার করে অন্যান্য দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর সুযোগ দেব না। এসময় প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রত্যাবাসনে তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
এছাড়া দেশের গণমাধ্যম পুরোপুরি স্বাধীনতা ভোগ করছে দাবি তিনি বলেন, গণমাধ্যম খোলাখুলিভাবে সরকারের সমালোচনা করছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে কোনো হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালের মাত্র ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে দুদেশের বাণিজ্য এখন বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক তাৎপর্যপূর্ণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে বাংলাদেশের আরএমজি পণ্যের বৃহত্তম বাজার।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং ঢাকাস্থ মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স উপস্থিত ছিলেন।