কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কিছুটা কমলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনো বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
জেলার ৯ উপজেলার ৮২০ গ্রামের ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি জীবন-যাপন করছেন। বানভাসি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে গবাদি পশুসহ পাকা সড়ক, উঁচু বাঁধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন। এ সব এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। ত্রাণের নৌকা দেখে বানভাসিরা ছুটে গেলেও অনেকের ভাগ্যে ত্রাণ জুটছে না। সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
এদিকে বন্যায় পাঁচদিনে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের বেশির ভাগই শিশু। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে জেলার ৮ হাজার পুকুরের প্রায় ১২ কোটি টাকার মাছ। সরকারিভাবে এ পর্যন্ত বন্যার্তদের জন্য সাড়ে ১৭ লাখ ৫ হাজার টাকা, ৬৫১ মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এ সব এলাকায় কেউ ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন না। ফলে ত্রাণ সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এ সব এলাকার মানুষ।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান, বন্যার্তদের জন্য ৪০৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ সব আশ্রয় কেন্দ্রে ২৫ হাজার ১৪টি পরিবার অবস্থান করছে। বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত বন্যার্তদের জন্য সাড়ে ১৭ লাখ ৫ হাজার টাকা, ৬৫১ মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী বিতরণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :