চালু হচ্ছে এমএনপি সেবা, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন


F.Taj প্রকাশের সময় : জুলাই ২৪, ২০১৭, ৭:২২ PM / ৪৮
চালু হচ্ছে এমএনপি সেবা, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন

চালু হতে যাচ্ছে মোবাইল নাম্বার ঠিক রেখে অপারেটর বদলের সুবিধা (এমএনপি সেবা)। অর্থ মন্ত্রণালয় সোমবার এই সেবার অনুমোদন দিয়েছে। ফলে গ্রাহক মোবাইল নম্বর পোর্ট্যাবিলিটির মাধ্যমে তার নাম্বার ঠিক রেখে যেকোনো অপারেটর সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

সোমবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এমএনপি সেবা অনুমোদনের বিষয়ে তারানা হালিম তার ফেসবুকে লিখেছেন, আপনারা সকলে MNP সার্ভিসটির বিষয়ে বিভিন্ন সময় আমার এই পেজে প্রশ্ন করে থাকেন- কবে আসছে MNP সেবা। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করেছিলাম- বর্তমান সরকার সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করে। আমরা সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের লক্ষ্যে কাজ করি মাত্র। MNP’র ফাইলটি দীর্ঘদিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন এর অপেক্ষায় ছিল… অবশেষে অনুমোদন পেল। আমরা অনুমোদনের জন্য পুনরায় সংশোধিত গাইডলাইন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরণ করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর আবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় (যেহেতু অর্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় আছে) থেকে অনুমোদন পেলে ফাইলটি সেদিনই আমরা BTRC তে পাঠিয়ে দেই- কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করে। কারণ, আমরা জানি MNP নিয়ে আপনাদের আগ্রহের কথা। আমরা বসে নেই। MNP’র সার্ভিসের জন্য সকল অনুমোদন গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বাকি আছে কেবল আনুষ্ঠানিকতা। মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক পর্যায়ে এই সার্ভিস দেবার জন্য টেকনিক্যাল বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে সর্বোচ্চ ৬-৯ মাস সময় লাগতে পারে। এরই মধ্যে জনগণকে তারা এই সেবা দিতে পারবে বলে আশা রাখি। আপনাদের আরো একটি প্রত্যাশা তখন পূরণ হবে। আপনাদের প্রত্যাশা পূরণে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

জানা গেছে, অপারেটরের সেবায় সন্তুষ্ট না হলেও এখন অনেকে নম্বর পরিবর্তনের ঝক্কিতে যেতে চান না। এমএনপি চালু হলে তারা নম্বর ঠিক রেখেই অন্য অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

এর আগে বহু প্রতীক্ষিত এই সুযোগ তৈরির জন্য ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর এমএনপি নীতিমালায় অনুমোদন দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। মোবাইল ফোন নাম্বার অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের কাজ কারা পাবে, সেই প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে কয়েকটি মূল্যায়ন মানদণ্ড যুক্ত করে ওই বছরের জানুয়ারিতে এমএনপি নীতিমালার সংশোধিত খসড়া চূড়ান্ত করে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর পর ২০১৬ সালের মে মাসে তা চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এমএনপি সুবিধা দিতে অপারেটরা গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩০ টাকা নিতে পারবে। একবার এমএনপি সুবিধা নেওয়ার পর গ্রাহক আবার নতুন কোনো অপারেটরে যেতে চাইলে তাকে ৪৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে।

এমএনপি চূড়ান্ত নীতিমালা বলা হয়েছে, দেশি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানও এ নিলামে অংশ নিতে পারবে। তবে তাদের বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে আসতে হবে। এক্ষেত্রে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হবে ৫১ শতাংশ এবং দেশি প্রতিষ্ঠানের ৪৯ শতাংশ।

নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স পাবে ১৫ বছরের জন্য এবং এই প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা শুরুর দ্বিতীয় বছর থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ হারে সরকারকে রাজস্ব দিতে হবে।

উল্লেখ্য, এমএনপির পূর্ণ অর্থ হচ্ছে- মোবাইল নাম্বার পোর্ট্যাবিলিটি। বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে মোবাইল নম্বর পোর্ট্যাবিলিটি বা এমএনপি পরিসেবা চালু রয়েছে।