উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে জামালপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি চরম অবনতি ঘটেছে। জামালপুরের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে যমুনার পানি বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী।
পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার যমুনা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকা দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা চুকাইবাড়ী, চিকাজানী, বাহাদুরাবাদ, চর আমখাওয়া ইউনিয়ন, ইসলামপুর উপজেলার পার্থশী, কুলকান্দি, বেলগাছা, চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া, সাপধরী, ইসলামপুর সদর, ইসলামপুর পৌরসভা, মেলান্দহ উপজেলার, শ্যামপুর, মাহমুদপুর, আদ্রা, নাংলা, ও ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন, মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা জোড়খালী, বালিজুড়ি ইউনিয়ন, সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা, আওনা ও কামরাবাদ ইউনিয়ন এবং জামালপুর সদরের একাংশের বিস্তৃর্ণ জনপদ নতুন করে প্লাবিত হয়ে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে ইউনিয়ন এবং ইউনিয়নের সঙ্গে গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যার্তদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম কলার ভেলা ও নৌকা।
বন্যা কবলিতরা উঁচু স্থানে, বাঁধের উপর খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। গৃহপালিত পশু, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভানবাসীরা। চরপাশে পানি ওঠায় গো খাদ্যের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
এদিকে বন্যা দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইনের দ্রুত প্রয়োজনীতা দেখা দিয়েছে।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীর জানান, ৪ উপজেলায় ৬০ টন চাল ও নগদ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :