জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি এমপি বলেছেন, স্বাধীনতার পর এ দেশে জাতীয় পার্টির আমলে যে সকল উন্নয়ন হয়েছে তাঁরই উপর দাঁড়িয়ে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া উন্নয়নের বুলি আওড়াচ্ছেন। মূলত পল্লীবন্ধু হুসাইন মুহম্মদ এরশাদ সাহেবের আমলেই যমুনা সেতু থেকে শুরু করে ৬৮ হাজার গ্রাম-বাংলার অবকাঠামো উন্নয়নে ব্রীজ, কালভার্ট, পাকা সড়ক উন্নয়নের কাজ হয়। এরশাদ সাহেব আবার ক্ষমতায় গেলে এদেশের চেহারা পাল্টে যাবে। এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে প্রকৃত অর্থেই বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার হচ্ছেন হুসাইন মুহম্মদ এরশাদ।
শনিবার বিকালে মুক্তাগাছা উপজেলা ও শহর জাতীয় পার্টির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ইদ পুনর্মিলণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শহর জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন মাস্টারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি এড. রফিকুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক শামছুদ্দিন আহমেদ মাস্টার, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান অতুন, জাপা নেতা জামাল উদ্দিন আকন্দ, আতাউর রহমান লেলিন, নুর উদ্দিন খান সুলতান মাস্টার, আব্দুল মান্নান, সাইফুল ইসলাম, মাহবুবুল আলম ফকির, শাজাহান সরকার, আহসান হাবিবুল্লাহ, মুক্তার হোসেন, তরুন আহমেদ, জামান মাস্টার, মিলন প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথি সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি আরও বলেন, দীর্ঘদিন পর মুক্তাগাছায় জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছে। এ পরিবেশ অব্যাহত রেখে আগামী দিনেও মুক্তাগাছার আসন জাতীয় পার্টির দখলেই রাখতে হবে। সে জন্য বিএনপি ও আওয়ামীলীগের অপপ্রচার রোধে বর্তমান প্রজন্মের ভোটারদের মাঝে এরশাদ সাহেবের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে হবে। আমাদের বিএনপি-আওয়ামীলীগ ভাঙ্গার দরকার নাই। একসময় যারা জাতীয় পার্টি করতেন তারা আবার ফিরে আসুন। তবেই পুনরায় মুক্তাগাছার মাটি জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসাবে পরিণত হবে। সভায় একবক্তার প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, আমি মুক্তাগাছার সন্তান। এখানকার মাটিতেই জন্মেছি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল যদি আমাকে পুনরায় মনোনয়ন দেয়, তাহলে মুক্তাগাছার আসন থেকেই নির্বাচন করবো।
আপনার মতামত লিখুন :