দ্বন্দ্ব সংঘাতের ফলে লাভবান হচ্ছে কেবল অস্ত্র ব্যবসায়ীরা-প্রধানমন্ত্রী


F.Taj প্রকাশের সময় : মে ১৩, ২০১৭, ১১:৪৬ AM / ৫১
দ্বন্দ্ব সংঘাতের ফলে লাভবান হচ্ছে কেবল অস্ত্র ব্যবসায়ীরা-প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলমানদের নিজেদের মধ্যে জাতিগত দ্বন্দ্ব-সংঘাত বন্ধের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, দ্বন্দ্ব সংঘাতের ফলে লাভবান হচ্ছে কেবল অস্ত্র ব্যবসায়ীরা। তিনি আরও বলেন, আমরা (মুসলিমরা) নিজেরাই বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধরত রয়েছি আর তার মুনাফা লুটছে অস্ত্র অব্যবসায়ীরা। এই যুদ্ধ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হবে।

বাংলাদেশে সফররত সৌদি আরবের মজলিসে শুরার স্পিকার ড. আব্দুল্লাহ বিন মোহাম্মদ বিন ইবরাহিম আলী বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বিশ্বে মুসলমানদের মধ্যে বিদ্যমান দ্বন্দ্ব-সংঘাতের বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটছে এবং মুসলমানরা ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে অন্য দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণে বাধ্য হচ্ছেন। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং এগুলো বন্ধে আমাদের বোঝাতে হবে।শেখ হাসিনা বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই শেষ বিচারের মালিক সুতরাং মুসলমানদের মধ্যে শিয়া-সুন্নির মতো নানা মতের এই বিভাজন কেন? এগুলো বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। বিপথগামী মুসলিমদের অনেকেই নানারকম বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন।

সৌদি স্পিকার বলেন, টাকার বিনিময়েও অনেককে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই বিশেষ করে তরুণ সম্প্রদায়ের মধ্যে এই সমস্যাটি রয়েছে। টাকা ছড়িয়ে কৃত্রিম বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে। এসব বিপথগামীদের সত্যিকারের ইসলামের পথে পরিচালিত করতে আলেম ওলামাদের অবশ্য করণীয় রয়েছে। আগামী ২১ মে রিয়াদে অনুষ্ঠিতব্য ইসলামিক আমেরিকান হিস্টোরিকাল সম্মেলনে এসব বিষয় আলোচনায় স্থান পেতে পারে। তিনি সৌদি আরবের বাদশাহ ও মুসলমানদের পবিত্র দুটি মসজিদের খাদেম সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীকে পৌঁছে দেন। তিনি আরও জানান, সৌদি বাদশাহ আশা প্রকাশ করেছেন আসন্ন সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। সৌদি আরব সবসময়ই সকল বাংলাদেশির হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে রয়েছে এবং উভয়ের আবেগের বন্ধন খুব দৃঢ় যেহেতু মুসলিমদের দুটি পবিত্র মসজিদ সেখানে রয়েছে।তিনি তাদের মজলিশে সুরার অবকাঠামো সম্পর্কে শেখ হাসনাকে অবহিত করেন এবং জানান, তাদের সংসদে ৩০ জন নারী সদস্য রয়েছেন। যাদের সকলেই উচ্চশিক্ষিত এবং ডক্টরেট ডিগ্রিধারী।অন্যান্যের মধ্যে বজলুল হক হারুন এমপি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম এবং বাংলাদেশে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ এইচ এম মুতায়ইরি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

সূত্রঃ বাসস।