রাজধানীর বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণ, ধর্ষক সাফাতের বাসায় পুলিশের অভিযান


Tajul প্রকাশের সময় : মে ৯, ২০১৭, ৩:৪৭ PM / ৭০
রাজধানীর বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণ, ধর্ষক সাফাতের বাসায় পুলিশের অভিযান

রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে একটি রেস্টুরেন্টে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের (২৬) বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক আবদুল মতিন বলেন, ‘সাফাতকে গ্রেফতারে গুলশান-২ এর ৬২ নম্বর রোডের ২ নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। শুধু সাফাত নয়, প্রত্যেকের বাসায়ই অভিযান চালানো হচ্ছে।’
গুলশান থানার এসআই মিল্টন দত্ত ও এসআই রিপনসহ চারজন কনস্টেবল প্রায় ১ ঘণ্টা তল্লাশি চালায়। পরে এসআই রিপন সাংবাদিকদের জানান, সাফাতকে বাসায় পাওয়া যায়নি। এমন কী তার পাসপোর্টও তারা জব্দ করতে পারেনি। দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার পাঁচ আসামির একজন সাদমান সাকিফ (২৪) রেগনাম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হোসাইন জনির ছেলে।
উল্লেখ্য গত ২৮ মার্চ দ্য রেইন ট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে আমন্ত্রণ করে ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার এক সপ্তাহ পর শনিবার রাতে ভুক্তভোগীদের একজন বনানী থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- নাঈম আশরাফ (৩০), সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল (২৬) ও অজ্ঞাতনামা দেহরক্ষী। মামলার এজাহারে ভুক্তভোগীরা যা উল্লেখ করেছেন, ‘আসামিরা ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত বনানীর দ্য রেইন ট্রি’ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে আমাকে, আমার বান্ধবী এবং এক বন্ধুকে আটকে রেখে সবাইকে মারধর করে। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে অশ্লীল গালিগালাজ করে। রুমের মধ্যে নেশাজাতীয় মদ্যপান করে আমাকে এক নম্বর আসামি এবং আমার বান্ধবীকে দুই নম্বর আসামি জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। তিন নম্বর আসামি সাকিফকে দুইবছর ধরে চিনি। তার মাধ্যমে এক নম্বর আসামির সঙ্গে পরিচিত হই। গত ২৮ মার্চ তার জন্মদিন উপলক্ষে এক নম্বর আসামির গাড়িচালক ও দেহরক্ষীকে পাঠিয়ে আমাদের নিকেতন হইতে বনানীর রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়। হোটেলে ছাদে বড় অনুষ্ঠান হবে বলে আমাদের নেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে ওই ছাত্রী এজাহারে বলেন, যাওয়ার পর ওরা ছাড়া আর কোনো লোক দেখি নাই। পরবর্তীতে জোরপূর্বক ধর্ষণের সময় গাড়িচালককে ভিডিও করতে বলে সাফাত। ঘটনার প্রতিবাদের কথা বললে নাঈম আমাকে মারধর করে। পরবর্তীতে আমাদের বাসায় দেহরক্ষী পাঠিয়েছিল আমাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য। এতে ভয় পেয়ে যাই এবং লোক লজ্জা ও মানসিক অসুস্থতা কাটিয়ে বন্ধু, আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করতে বিলম্ব হয়।’
ধর্ষিত দুই তরুণীর ফরেনসিক টেস্টের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদসহ অন্যান্যরা হলেন- ডা. কবির সোহেল, ডা. মমতাজ আরা, ডা. নীলুফার ইয়াসমিন ও ডা. কবিতা সাহা।