শনিবার রাতে মুক্তাগাছা উপজেলায় কাল বৈশাখী ঝড়ের সময় একজনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার ঘোগা, তারাটি, মানকোন, কাশিমপুর ও বড়গ্রাম ইউনিয়নের কয়েকশ বাড়ি-ঘর লন্ডভন্ড, ৫৭টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ও হাজার হাজার গাছ-গাছালি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জানা যায় শনিবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ে রৌয়ারচর বাজারে পুকুরিয়া মৈশাদিয়ার বাসিন্দা মৃত কছি মন্ডলের পুত্র আব্দুল মজিদ (৫৫) প্রবল ঝড়ের সময় তার বাড়ির উপর একটি গাছ ভেঙে পড়ে। এতে চাপা পড়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এদিকে উপজেলার ঘোগা ইউনিয়নের হাতিল, কাশিমপুরের ঝনকা, দাওগাঁওয়ের কাটবওলা, তারাটি ইউনিয়নের মৈশাদিয়া, বড়গ্রামের রৌয়াচরসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কয়েকশ বাড়ি-ঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওপর মেহগনি, আকাশমনি, ইউক্লিপটাসসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন হাজার হাজার গাছপালা ও ঘরবাড়ী ভেঙ্গে চূরমার হয়ে গেছে। সকালে স্থানীয় এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি সরেজমিনে পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ টাকা অনুদান দেন।
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে সার্বিক সাহায্য- সহযোগীতার আশ্বাসও দেন তিনি। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন কালে, জেলা পরিষদ সদস্য জোসনারা মুক্তি, ইউএনও জুলকার নায়ন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজিজা রহমান, থানার ওসি আখতার মোর্শেদ, ত্রাণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির নেতা শামছুদ্দিন আহমেদ মাষ্টার, আতাউর রহমান লেলিন, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লেবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায় শনিবার রাতে মুক্তাগাছার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে ৫ কোটি টাকার মূল্যমাণের সম্পদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এদিকে রাতে পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ শূন্য হয়ে পড়ে গোটা উপজেলা।
আপনার মতামত লিখুন :